শ্যামল রায়,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা জুড়ে তাঁত শিল্পীদের বসবাস বেশি। মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁত শিল্পের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন লক্ষ লক্ষ তাঁত শিল্পী। বিগত দিনে ধুঁকতে থাকা তাঁত শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের খামতি নেই। তাই তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বর্তমান তৃণমূলের সরকার।
তাঁতী সাথী প্রকল্প থেকে শুরু করে তাজহাট সবকিছুতেই যেন তাঁতিদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছুঁয়ে আছে।
জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকারের বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে পূর্বস্থলী১ ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে ও কালনা১ নম্বর ব্লকের ধাত্রীগ্রাম এ বরাদ্দকৃত ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক মানের তাঁত হাট তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে শ্রীরামপুর ও ধাত্রীগ্রাম এ অত্যাধুনিক তাঁত হাট তৈরির কাজ যেভাবে জোরকদমে চলছে সম্ভাবনা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হতে পারে। রাজ্যের বস্ত্র ও উদ্যোগ ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে শ্রীরামপুরে তাঁতের হাটের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা ও ধাত্রীগ্রাম এ তাতে তৈরীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। বরাদ্দকৃত অর্থে দুটি স্থানে তাঁতের হাট তৈরীর কাজ জোরকদমে চলছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন খুব তাড়াতাড়ি দুটি হাট উদ্বোধন করা হবে।
তাঁতের হাটে কাপড় কেনাবেচার পাশাপাশি তাঁত সামগ্রী ও পাওয়া যাবে। সুতোর রঙের কাজ হবে এখানে এছাড়াও ব্যাংক তাঁত বস্ত্র অফিস ও বিক্রেতাদের থাকার গেস্ট হাউস থাকবে এই তাঁত হাটের মধ্যে ।ফলে তাঁতশিল্পীরা বেশি ধরে শাড়ি বিক্রি করতে পারবেন। কলকাতাসহ ভিন রাজ্যের বড় বড় দাঁত ব্যবসায়ীরা সরাসরি এইসব এই সকল তাঁত হাট থেকে কাপড় কিনতে পারবেন এবং অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেন।
বাজারের অভাবে শিল্পীরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হন তার থেকে মুক্তি পেতে পারবেন তাঁতশিল্পীরা।
আধুনিক মানের তাঁতের বাজার তৈরি হলে তাঁত শিল্পীরাই সরাসরি বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে নিজেদের বানানো শাড়ি বিক্রি করার একটা সুযোগ পেয়ে যাবেন।
আরো জানা গিয়েছে কালনা মহকুমার ও কাটোয়া মহকুমা বিভিন্ন ব্লকে তাঁত শিল্পীদের বসবাস বেশি আগে বাজারের অভাব থাকায় তাঁতিরা তাদের উৎপাদিত কাপড় বিক্রি করতে সমস্যায় পড়তেন।
তাঁত হাট তৈরি হলে তার থেকে নিষ্কৃতি পাবেন তার শিল্পীরা। একই ছাদের তলায় সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা মিলার ফলে তাঁতশিল্পীরা বিদেশ থেকেও এসে এখান থেকে কাপড় কেনাবেচা করতে পারবেন।
যদিও আগে এরকম সুযোগ সুবিধা ছিল না।
রাজ্য সরকার তা শিল্পীদের উন্নয়নে তাঁত শ্রী তাঁতি সাথী মতো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প চালু করেছেন। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন তাঁতশিল্পীরা শুধু শাড়ী উৎপাদন করলেই হবে না তার বিপণনের সুযোগ না থাকলে মার খেয়ে যান তার শিল্পীরা তার থেকে বাঁচতেই এই ধরনের তাতার তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে আজ লক্ষ লক্ষ তাঁত শিল্পীর মুখে হাসি ফুটাতে চলছে।শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি দিলীপ মল্লিক জানিয়েছেন যে আমাদের স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর উদ্যোগেই মূলত বস্ত্র দপ্তর এর আর্থিক সহায়তায় তার শিল্পীদের যেমন উন্নতি ঘটছে তেমনি এলাকার রাস্তাঘাটের ও উন্নয়নে বস্ত্র দপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থে কাজ হচ্ছে যা কিনা যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা ব্যাপক উন্নতি ঘটছে সেই সাথে তাঁত হাটের মাধ্যম দিয়ে তাঁত শিল্পের উন্নতি ঘটবে পাশাপাশি তাঁত শিল্পীদেরও উন্নতি ঘটবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584