ভাস্কর ঘোষ, সালার, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ – মূক ও বধির ছেলের সঙ্গে জোর করে এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার মা ও দিদার বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের সালার থানার দত্তবরুটিয়া গ্রামের দাসপাড়ার ঘটনা। এদিন সালার থানার পুলিশ ও ভরতপুর – ২ ব্লকের বিডিও সেখানে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন।ওই নাবালিকার মা বাবুলী দাস ও দিদা ছবি দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই নাবালিকা বছর দশেকের লক্ষ্মী দাসকে বহরমপুরে শিলায়ন হোমে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ভরতপুর – ২ ব্লকের বিডিও অর্নব চিন্না।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা একবার আত্মহত্যা করতেও গিয়েছিল।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী দাসের বাড়ি সালার থানার দত্তবরুটিয়া গ্রামেই। বছর পাঁচেক আগে ওই নাবিলার বাবা পিন্টু দাস মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর বাবুলী দাস গ্রামেরই আর এক যুবককে বিয়ে করেন। সেইসময় সেইসময় থেকেই ওই নাবালিকা হুগলি জেলায় দিদার বাড়িতে থাকত। কয়েক মাস আগে তার দিদা দত্তবরুটিয়া এসে তাদের বাড়ির তিনটে বাড়ির পরে তুলু দাসের মূক ও বধির ছেলে গৌর দাসের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষন ঠিক করে যান। এদিন গ্রামের এক কালী মন্দিরে তাদের বিয়েও দেন। খবর পেয়ে এদিন সন্ধ্যেয় দত্তবরুটিয়া গ্রামে ওই নাবালিকার বাড়িতে যান ভরতপুর -২ ব্লকের বিডিও এবং সালার থানার পুলিশ। ওই বিয়ে ভেঙে দেন বিডিও। আটক করা হয় ওই নাবালিকার মা বাবুলী দাস , দিদা ছবি দাস , পাত্র গৌর দাস ও পাত্রের মা তুলু দাসকে।
ভরতপুর – ২ ব্লকের বিডিও অর্নব চিন্না বলেন, নাবালিকার দিদা ও মা পাড়ারই এক ছেলের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ে ভেঙে দিয়ে আমরা ওই নাবালিকাকে বহরমপুরের শিলায়ন নামের একটি সরকারি হোমে পাঠিয়েছি।
সালার থানার পুলিশ বলেন, ওই নাবালিকার মা বাবুলী দাস ও দিদা ছবি দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584