নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
১২ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে’ (NFHS-5) রিপোর্ট। এই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সের ঊর্ধে ১৫.৬% পুরুষ মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও এখনও মদ্যপান করেন নিয়মিত। প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, বিহারের প্রায় ৭৭% মহিলার নিজের নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং প্রায় ৫৫% মহিলা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
বিহারে ২০১৬ সালে নীতিশ কুমারের নেতৃত্ব এনডিএ সরকার মদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আবগারি আইনের মাধ্যমে। আইনে বলা হয় নিষেধাজ্ঞা জারির পর কেউ যদি মদ্যপান করে ধরা পড়েন সেই ব্যক্তির অন্তত দশ বছর হাজতবাস অনিবার্য। এখনও পর্যন্ত এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২লক্ষের বেশি মদ্যপায়ীকে যাঁরা প্রায় সকলেই অত্যন্ত গরিব এবং প্রান্তিক শ্রেণীভুক্ত। এছাড়াও ৩০ লক্ষ লিটারের বেশি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নতুন রণতরী নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স
এই প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে পাটনা হাইকোর্ট সরকারকে তিরস্কারও করে যে দু’লক্ষাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন কিন্তু অন্যদিকে রাজ্যের প্রায় ৫২ জন পুলিশ কর্মী একই কারণে অভিযুক্ত হলেও তাদের মধ্যে শাস্তির পরিমাণ নগন্য। খুব কম জনই কিছুদিনের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন আর বাকিদের বিরুদ্ধে সাধারণ কোনো ‘ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়ারি’ হয়েছে। এই বৈষম্যের কারণ কি!
জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫ বছরের ঊর্ধে ১৫.৫% পুরুষ এবং ০.৪% মহিলা মদ্যপান করেন। একই বয়সের পুরুষদের মধ্যে ৪৮.৮% ও ৫% মহিলা নিয়মিত তামাকজাত দ্রব্যের নেশা করেন।
আরও পড়ুনঃ ১ জানুয়ারি থেকে ৩ শতাংশ ডিএ সরকারি কর্মীদের, বিজ্ঞপ্তি জারি
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অজয় কুমার এই প্রসঙ্গে দ্য হিন্দু পত্রিকাকে বলেছেন, সরকার এমন কঠোর আইন প্রণয়নের পরেও ১৫.৫% মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করছেন, নীতিশ কুমারের সরকারের জানা উচিত তাঁরা মদের বোতল কিনতে পারছেন অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতাই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আইনের জালে ভুগছেন গরিব প্রান্তিক মানুষরাই। এনএফএইচএস-৫ এর সমীক্ষায় দেখা গিয়ছে, যতজন মহিলা নিজস্ব মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তার সংখ্যা ৫১.৪%, যা গ্রামাঞ্চলে ৪৯.৩% এবং ৬১.৮% শহরাঞ্চলে। ২০১৫-১৬ তে ৪০.৯% মহিলা নিজস্ব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন।
একইভাবে মহিলাদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে ৭৬.৭% মহিলার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে, ২০১৫-১৬ তে যা মাত্র ২৬.৪% ছিল।
আরও পড়ুনঃ শাহ আসার পূর্বে খড়্গপুরে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন বিজেপি নেতা শিবপ্রকাশ
উল্লেখযোগ্য অবনমন হয়েছে মহিলা-পুরুষ লিঙ্গ অনুপাতে( sex ratio), এখন এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৯০৮ জন মহিলা( প্রতি ১০০০ পুরুষে)। যা ২০১৫-১৬ তে ছিল ৯৩৪ জন মহিলা(প্রতি ১০০০ পুরুষে)।
সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিহারে মাত্র ২০.৬% মহিলা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, অথচ পুরুষদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৩.৬%, স্বাক্ষরতার হার মহিলাদের মধ্যে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৮%, আর তা ৭৮.৫% পুরুষদের মধ্যে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584