মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের প্রকোপে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ভারতেও থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। করোনা সংক্রমণ রুখতে বিগত দু’মাস ধরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সহ বিভিন্ন কর্মসংস্থান। ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন অনেকে। এবার শুধুমাত্র হরিয়ানার গুরুগ্রামের অটোমোবাইল হাবেই ২০ থেকে ৩০ লক্ষ কর্মীর ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করছে শিল্প মহল। এই হাবে কর্মসংস্থান হয় প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের।
আর সারা দেশে সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ। দেশে করোনাভাইরাস প্রভাব বিস্তার করার আগে থেকেই ধুঁকছিল গাড়ি শিল্প। শুরু হয়েছিল কর্মী সংকোচন। সেই সঙ্কট কাটার আগেই দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। সবচেয়ে বেশি কোপ পড়ছে অস্থায়ী কর্মীদের উপর। কারণ, তাঁদের ছাঁটাই করার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধ্যকতা নেই সংস্থাগুলির। উপরন্তু স্থায়ী কর্মীদেরও কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছে অনেক সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ বিমানে মাঝের আসন ফাঁকা না রাখায় সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কৃত কেন্দ্র
সব মিলিয়ে সঙ্কট ক্রমেই গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। কর্মী ইউনিয়নগুলি এই সব শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালেও তাঁরা কার্যত পরিস্থিতির কাছে অসহায়। লকডাউনের জন্য কর্মী ছাঁটাই করেছে এমন বহু সংস্থার মধ্যে রয়েছে বেলসোনিকা অটো কমপোনেন্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।
মারুতির অন্যতম ‘ভেন্ডর’ এই সংস্থার ১ হাজার ৩০০ কর্মীর মধ্যে ৩০০ অস্থায়ী কর্মীকে ইতিমধ্যেই ছেঁটে ফেলেছে। করোনাভাইরাস যেভাবে সমগ্র দেশে প্রভাব ফেলেছে তাতে এইরকম আরও অনেক কর্মসংস্থান থেকেই কর্মী ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সঙ্কট যে অদূর ভবিষ্যতে কাটার নয়, তা এখনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584