নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণেই অর্ধেকের বেশি করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে।হাসপাতালের সংক্রমণ ও অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করোনায় মৃত্যুর হারকে আরও ত্বরান্বিত করছে। সম্প্রতি
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ কর্তৃপক্ষ মুম্বাইয়ের ১০টি হাসপাতালের ১৭৫৩৪ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষায় জানা যায়, শরীরে ছত্রাকঘটিত বা ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ হওয়া করোনা রোগীর মৃত্যুর হার ৫৬.৭ শতাংশ। আসলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে-এটাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় সেকেন্ডারি সংক্রমণ।এই সেকেন্ডারি সংক্রমণ নাকি করোনা আক্রান্ত হওয়ার থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর।
আরও পড়ুনঃ করোনায় বাবা-মা হারা শিশুদের ৩ লাখ এবং ১৮ বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে ২০০০ টাকা ঘোষণা কেরল সরকারের
আইসিএমআরের বক্তব্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজেই ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তার উপর মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড ব্যবহার রোগীর ক্ষতি করছে আরও। ফলে সেকেন্ডারি সংক্রমনের হারও বাড়ছে এবং তাতে মৃত্যুহারও বেশি।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত দেশের শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ডঃ মুমতাজ আহমেদ খান
গবেষণায় উঠে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। এই সেকেন্ডারি সংক্রমনের জন্য সমীক্ষায় হাসপাতালে হাইজিন বিধিকেও প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। আইসিএমআরের অন্যতম সদস্য তথা গবেষক ডঃ কামীনি ওয়ালিয়ারের বক্তব্য,’অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় সংক্রমণ হাসপাতাল থেকেই ছড়াচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী এই সংখ্যা ৭৮ শতাংশ। হতে পারে হাসপাতালে ঠিকঠাক রোগ সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584