শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কিছুদিন আগেই দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালে আধিক্য সংক্রমণ ছড়ানোর মূল কারণ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কথা কলকাতার নোডাল অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় কি কি মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা নিয়ে পুরসভার তরফে তরফে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমীক্ষা। এবার জানা গেল, অটোর জেরে উপসর্গহীন অটো চালকদের থেকেই দক্ষিণ পূর্ব কলকাতার একটা বৃহৎ অংশে ছড়াছে সংক্রমণ। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সমীক্ষায়।
হাসপাতাল হোক কী বহুতল আবাসন, পূর্ব কলকাতারই এম বাইপাস লাগোয়া এলাকাগুলি যেন হয়ে উঠেছে মারণ ভাইরাসের হটস্পট। আর তার জেরেই ওই সব এলাকায় ক্রমশই বেড়ে চলেছে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। এদিকে উপসর্গহীন হওয়ায় অটো চালক নিজেরা জানতে বা বুঝতেও পারছেন না যে তাঁরা সংক্রমিত। এই অবস্থাতেই তাঁরা চালাচ্ছেন অটো।
আর সেই অটো ধরে যারা যাতায়াত করছেন, তাঁরাই অজান্তে সংক্রমিত হচ্ছেন। রোগীর পরিবার পরিজন, স্বাস্থ্য কর্মীদের একটা বড়ো অংশই অটো করে রোজ যাতায়াত করে। ফলে নিঃশব্দেই তাঁদের শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ ভাইরাস।
আরও পড়ুনঃ প্রথম সংক্রমণের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেই সংক্রামিত ৩৬৪, মৃত্যু ৫! চূড়ান্ত উদ্বেগে পুরসভা
১০৯ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে কলকাতায় প্রথম সংক্রমণ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৬৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে, সেখানের কো-অর্ডিনেটর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালগুলিতে যাতায়াত করা বা মুকুন্দুপুর ছুঁয়ে যাদবপুর থেকে নয়াবাদ বা গড়িয়া রুটে চলাচল করা দু’জন অটোচালক ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনঃ রাতের কলকাতায় মদ্যপদের বচসা থামাতে গিয়ে নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার, আটক ৩
এখন এদের অটোতে চড়ে আর এদের সংস্পর্শে এসে কতজন সংক্রমিত হয়েছেন সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে সেটা যে ঘটবে না এমনটাও নয়। বরঞ্চ মনে করা হচ্ছে অটো চালকদের মাধ্যমেই পূর্ব কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ।’
তবে পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের আধিকারিকদের আশঙ্কা, ‘শুধু অটোচালকরাই নয়, এলাকার রিকশাচালক এবং হাসপাতাল লাগোয়া নানা গেস্ট হাউজের কর্মীরাও সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করছেন।’ মুকুন্দপুর ও আনন্দপুর এলাকায় নানা হাসপাতালের পাশে যে সমস্ত ছোট দোকান ও রেস্তোঁরা চলছে সেখান থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584