উমার ফারুক,নিউজ ফ্রন্ট,হরিশ্চন্দ্রপুর,৩ডিসেম্বরঃ-
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে শাসক বিজেপি ও জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে।গুজরাটে এবার পালাবদল হবে বলে রাজনৈতিক মহল ও মিডিয়ার ধারণা।তাই কংগ্রেস নির্বাচনি ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে কোন কসুর করছে না। অখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির(এআইসিসি)পক্ষ থেকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সাংসদ, বিধায়ক দের বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।এআইসিসি এর পক্ষে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলত এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাংসদ,বিধায়ক দের কাছে গত ২৭শে নভেম্বর লিখিত নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।পশ্চিমবঙ্গ থেকে গুজরাটে ভোট প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন মালদা জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম সহ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের কিছু নেতা।
মৌসম বেনজির নূর রাজকোট পশ্চিম কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন।বর্তমানে মোস্তাক আলম মালদা জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ও প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতার যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের নজর কাড়ে ।সুবক্তা ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিতি মোস্তাক আলম।ইতিপূর্বে তিনি ১৯৯৩-৯৮ সাল পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর-২পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি,২০০৮-১৩ সাল পর্যন্ত মালদা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ এর দায়িত্ব সামলেছেন।তিনি ১৯৮৩ সালে প্রথম জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০১সালে প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধান সভা কেন্দ্র থেকে।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট শুরু হচ্ছে ৯ই ডিসেম্বর।হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম কে গুজরাটের ৯৫ নম্বর আমরেলি বিধান সভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে,উক্ত কেন্দ্রের প্রার্থী পরেশ ভাই ধানানী। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই তিনি গুজরাট পৌঁছে গেছেন।শনিবার রাত আটটার সময় তিনি আহমেদাবাদ বিমান বন্দরে নামেন।সেখান থেকে তিনি জুহাপুরা তে অবস্থিত দলীয় সদর দপ্তরে যান।উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভোট প্রচারের কলা কৌশল নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা ও সেরে ফেলেন তিনি।এই প্রসঙ্গে মোস্তাক আলম এই প্রতিবেদক কে ফোনে জানান-“দল আমাকে গুজরাটে ভোট প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছে।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করছি।এখানে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি বিজেপি সরকারের প্রতি তাদের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত চাপা ক্ষোভ।কিন্তু শাসক দলের ত্রাসে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ তা প্রকাশ করতে পারছেন না।তবে মহিলারা তাঁদের ক্ষোভের কথা অকপটে বলে দিচ্ছেন।নোট বন্দি থেকে রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে তারই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ভোটে হবে ।আমরা আশাবাদী গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।”
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ঝাড়খণ্ড বিধান সভা ও ২০১৫ সালে বিহার বিধান সভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষে প্রচারের দায়িত্ব ও পালন করেন মোস্তাক আলম।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584