ছেলে বৌমা-র অত্যাচারে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রৌঢ়ার, উদ্ধারকারী টোটো চালক

0
71

মোহনা বিশ্বাস, হুগলীঃ

বাড়িতে অশান্তি। সারাদিন ছেলে বৌয়ের গঞ্জনায় অতিষ্ট এক মা। আত্মহত্যার চেষ্টাও করলেন, কিন্তু সফল হলেন না। পান্ডুয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে পান্ডুয়া স্টেশনের কাছে রেললাইনে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন মেনকা মল্লিক। বয়স ৭০। বাড়ি পান্ডুয়ার ইলছোবা দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোজিনা দাসপুর এলাকায়। আত্মহত্যা করতে গেলে ঐ প্রৌঢ়াকে বাঁচান টোটো চালক শেখ ইসরাইল।

মেনকা মল্লিক। নিজস্ব চিত্র

ছেলে প্রশান্ত মল্লিক ও বৌমা সাধনা মল্লিকের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন মেনকা দেবী। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শনিবার দুপুরে। মেনকা দেবী বলেন, গত শনিবার বাড়িতে মাছ রান্না করা হয়েছিল। এরপরই মাছ খাওয়া নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। মা মাছ খেয়ে নিয়েছে এই সন্দেহে থালা বাসন ছুঁড়ে তাকে মারধর করে ছেলে। এই ঘটনার পর নিজের ঘরে তালা দিয়ে বাড়িতে থেকে বেড়িয়ে যান মেনকা দেবী। সেদিন রাতে আবার বাড়ি ফিরে এসে নিজের ঘরে শুয়ে পরেন তিনি। পরদিন সকাল থেকে খেতে না দিয়ে মা কে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে ছেলে প্রশান্ত। এই ঘটনায় মেনকা দেবী-র ছেলে প্রশান্তের সঙ্গে ছিল বৌমা সাধনাও। তিনদিন অভুক্ত ছিলেন ঐ প্রৌঢ়া। এরপর মঙ্গলবার খিদের জ্বালায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আত্মহত্যা করতে পান্ডুয়া স্টেশনের কাছে রেললাইনে চলে যান তিনি। আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন দেখে ঐ প্রৌঢ়াকে বাঁচান ইসরাইল। তারপর মেনকা দেবী কে নিয়ে পান্ডুয়া থানায় যান তিনি।

উদ্ধারকারী শেখ ইসরাইল। নিজস্ব চিত্র

এই ঘটনা প্রসঙ্গে শেখ ইসরাইল বলেন, পান্ডুয়া রেলগেটের কাছে লাইনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন মেনকা দেবী। ঐ প্রৌঢ়াকে দেখা মাত্রই ছুটে যান তিনি। এরপর তার ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা ইসরাইলকে জানান প্রৌঢ়া। প্রৌঢ়ার গলায় মারধরের চিহ্নও দেখতে পান ইসরাইল। তারপরই মেনকা দেবী কে নিয়ে থানায় যান তিনি।

অন্যদিকে, মেনকা দেবী-র বৌমা সাধনা মল্লিক বলেন, প্রশান্ত ও তার বিয়ের পরের দিন থেকেই তাদের বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। সবসময় নাটক করেন ঐ প্রৌঢ়া। বৌমাকে সহ্য করতে পারেন না মেনকা দেবী। ছেলে বৌ কে থানায় ঢোকানোর জন্য এইসব করছেন তিনি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here