মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
শ্বাশুড়ি মানে মায়ের সমতুল্য। সমাজে প্রচলিত আছে মেয়েকে বিয়ে দিয়েই না কি জামাইকে ছেলে হিসেবে তৈরি করা। কিন্তু সেই জামাই বা ছেলে যদি তাঁর শারীরিক চাহিদা মেটাতে বা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সেই শ্বাশুড়ি মায়ের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।
তাহলে তাঁর সে পাপের ফল স্বয়ং উপরওয়ালা খন্ডাতে পারবে না। তা করতে স্ত্রী ও গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে গণধোলাই খেলেন জামাই ও তাঁর শ্বাশুড়ি মা। পরে স্থানীয় মানুষ ও তাঁর স্ত্রী হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনি এক হতবাক কান্ড ঘটেছে কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের ছোটো গদাইখোড়া গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক আয়ুব আলির সঙ্গে ওই মহিলার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তাঁরপর ওই মহিলার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওই যুবক। আলাপ আলোচনা করে তাদের ঘটা করে বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও স্বাভাবিক ভাবে সম্পর্কে জামাই হয়ে ওঠে আয়ুব আলি। কিন্তু মেয়ের বিয়ের পরেও আয়ুবের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে তাদের ওই পরকীয়ার সম্পর্কের কথা জানতেই স্বামী ও তাঁর মাকে প্রতিবাদ করেছিলেন মেয়ে।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে বিদেশী মদ সহ গ্রেফতার দুই পাচারকারী
আর তাতেই আয়ুব ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চরমে ওঠে। তাঁরপর আয়ুব আলি তাঁর শ্বাশুড়ির কাছে আসেন। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে শ্বাশুড়ি ও জামাই মিলে রোমান্স শুরু করেন। সেই সময় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় মেয়ের কাছে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শীতলকুচি থানার পুলিশ। পরে জামাই ও শ্বাশুড়িকে উদ্ধার করে পুলিশ শিতলকুচি থানায় নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত ওই আয়ুবের প্রতিবেশী এক যুবক বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। শ্বাশুড়ি মানে মা তাঁর সাথে এটা ভাবতে পারে যায়না, এরা সমাজের নরকীট। এদের সমাজে ঠাঁই দেওয়া উচিত না। ওই মহিলাও কেমন একজন মা তাঁর মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারে।
কিন্তু তারা দুজন যে অন্যায় করেছে তাঁর ক্ষমা নেই। প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুরোধ তাদের দুজনের যেনো কঠোর শাস্তি বা সাজা হয়।
শীতলকুচি থানার পুলিশ জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584