হুগলির খানাকুলে নাবালিকা মেয়ের হাতে গুলিবিদ্ধ মা

0
114

নাদিহা বেগম,আরামবাগ, ১৭ ই জুনঃ-

নগলির খানাকুলে মেয়ের হাতে গুলিবিদ্ধ মা। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের রঘুনাথ পুরে। গুলিবিদ্ধ কাকুলি জানা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। নাবালিকা মেয়ের হাতে কিভাবে গুলি ভর্তি বন্দুক এল খতিয়ে দেখছে খানাকুল থানার পুলিশ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রবিবার বেলার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তের জন্য আহত গৃহবধূর স্বামী বাবলু জানাকে আটক করেছে পুলিশ । কোথা থেকে এবং কিভাবে মেয়ের হাতে এই গুলি ভর্তি বন্দুক এল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।আদৌ মেয়ে গুলি করেছে নাকি তার স্বামী গুলি করেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের রঘুনাথ পুরে বাদাম জমিতে কাজ করার সময়ে এই বন্দুক টিকে দেখতে পান কাকুলি জানা।পরে পড়ে থাকা খেলনা বন্দুক ভেবে সেটা কে ঘরে আনেন মা। তারপর ওই বন্দুক টি কে টিভির টেবিলে রাখেন। সেই সময় মেয়ে সেটাকে খেলনা বন্দুক ভেবে হাত তুলে নিয়ে দেখতে থাকে বন্দুকটি । তারপরে যেই বন্দুকের ট্রিগারে হাত দেয় মুহূর্তের মধ্যেই আসল বন্দুকের গুলি মায়ের পিঠে লাগে। গুলিবিদ্ধ হন মা। তা দেখে মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে মা কাকলি জানাকে। কাকলি দেবীর শাশুড়ি গৌরি জানা বলেন, “বৌমা বাদাম জমিতে বাদাম তুলতে গিয়ে ছিল। তারপর জমিতে পড়ে থাকতে বন্দুকটি দেখে খেলনা বন্দুক ভেবে সে নিজেই বাড়িতে নিয়ে এসে রাখে এবং মুড়ি বের করে খাবার জন্য। সেই সময় নাতনি মধুমিতা বন্দুকটি দেখে ঘাঁটতে থাকে। তারপর বন্দুকের ট্রিগারে হাত দিলে গুলি বেরিয়ে বৌমার পিঠে লাগে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আমরা বৌমাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি। বৌমার অবস্থা এখন সংকটজনক। জানি না শেষ পর্যন্ত কি হবে?”

হাসপাতালে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির দাবি, রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য এলাকায় অস্ত্র ভান্ডার তৈরি হয়ে রয়েছে। অতিসত্বর পুলিশের উচিত তল্লাশি চালিয়ে সমস্ত অস্ত্র উদ্ধার করা। নাহলে যে কোনদিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here