শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃ
দুই শিশু সন্তানকে ফেলে রেখে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন মা।এইরকম একটি নিষ্ঠুর মর্মান্তিক ঘটনা দেখছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
শনিবার দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে মায়ের খোঁজে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশনে এসে যুবক সুভাষ সামন্ত চোখের জল ফেলে জানালেন যে, “এখনো পর্যন্ত স্ত্রী দীপ্তি সামন্তর খোঁজ মেলেনি।জানিনা ভালোবাসা করে কারো সাথে পালিয়ে গেছেন কিনা কিভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন আমার কাছে অজানা।
তবে আমি কর্মসূত্রে কেরালাতে ছিলাম বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার স্ত্রী দীপ্তি নিখোঁজ।সবথেকে বড় বেদনাদায়ক হচ্ছে আমার দুটি ছোট ছেলে রয়েছে একজনের নাম নন্দু আরেকজনের নাম আনন্দ।নন্দ এখনো কথা বলতে শেখে নি তাই আমাকেই দুই সন্তানকে খাওয়ানো পড়ানো মানুষ করার দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছে।আমি একজন দিনমজুর এখন দুই ছোট শিশুদের মানুষ করবো না টাকা উপার্জন করে এদের বাঁচিয়ে রাখবো।”
আরও পড়ুনঃ ট্রলার থেকে পরে নিখোঁজ মৎসজীবী
শনিবার নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশনে বসে দুই সন্তানকে আঁকড়ে ধরে চোখের জল ফেলে সুভাষ সামন্ত জানালো, “আমার দুঃখের শেষ নেই কিন্তু এখন নতুন করে বিয়ে করার স্বপ্ন দূরে সরিয়ে রেখেছি।কারণ নতুন করে ঘর বাঁধলে আমার দুই শিশু সন্তানের প্রতি মারাত্মক অত্যাচার নেমে আসতে পারে এবং আমার অবস্থা আরো কাহিল হতে পারে তাই ভয় পেয়ে এখন দুই সন্তানকে আঁকড়ে রেখে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছি।
আমার বাড়ি নশরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাখর চাই খালি গ্রামে।তাঁতের কাজ করি সমুদ্রগড়ে। ভোরবেলা উঠে দুই ছেলের জন্য খাবার তৈরি করে এনে তা দুনিয়ার দুই ছেলেকে কাছেপিঠে করে রাখার চেষ্টা করছি তবুও সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাকে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
তবে সুভাষ সামন্ত জানালো যে আমার কিনে ভোরবেলা উঠে দুই ছেলের জন্য খাবার তৈরি করে এনে তা দুনিয়ার দুই ছেলেকে কাছেপিঠে করে রাখার চেষ্টা করছি তবুও সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাকে দিনযাপন করতে হচ্ছে।” তবে সুভাষ সামন্ত জানালো যে আমার কিনে দেওয়া মোবাইল কাল হয়েছে।আমি কেরালায় থাকি বলে যোগাযোগ রাখার জন্য মোবাইলটা আমার স্ত্রী দীপ্তি কে কিনে দিয়েছিলাম।
পরে বুঝতে পারি যে সবসময় দীপ্তি অন্য ফোনে কথা বলছে অথচ আমার সাথে বলে না। তখন থেকেই আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে এবং হঠাৎ করে জানতে পারি আমার স্ত্রী নিখোঁজ। বাড়িতে আসার পর থেকে বহু খোঁজাখুঁজির পরও এখনো পর্যন্ত স্ত্রী দীপ্তির খোঁজ মেলেনি।
তবে এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন যে খুব সম্ভবত প্রেম ভালোবাসা করে কারো সাথে পালিয়ে গেছে ওই দীপ্তি। তবে মারাত্মকভাবে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন সুভাষ সামন্ত। গ্রামের মানুষের কাছে এটাও প্রশ্ন উঠেছে যে দেখতে সুন্দর দুই শিশুকে রেখে একজন মা কিভাবে পালিয়ে যেতে পারে এই ধরনের নিষ্ঠুর মায়ের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সুভাষ সামন্ত এখন কি করবেন দুই সন্তানকে মানুষ করবেন না নিজে পরিশ্রম করে অর্থ জোগাড় করে বাঁচিয়ে রাখবেন না ফের বিবাহ করবেন এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তার।কিন্তু নতুন করে আর ঘর বাধার স্বপ্ন দেখবেন না বলে জানিয়েছেন সুভাষ সামন্ত।
একটাই আশা দুই শিশু নন্দ এবং আনন্দ কে বাঁচিয়ে রাখাই হবে তার প্রথম কাজ।পাশাপাশি চলবে স্ত্রী দীপ্তি সামন্তর খোঁজ।থানায় ডায়েরি করা হলেও পুলিশ নিশ্চুপ বলে অভিযোগ সুভাষ সামন্তের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584