নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
“পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এতদিন কেটে গেলেও জাকিরের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রকারী তাঁদের ধরা যাচ্ছে না, একে অপরের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত। বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে।
জাকিরের অপরাধ সে সত্যভাবে রাজনীতি করতে চেয়েছিল, জাকিরের অপরাধ, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে চাইছিল না। সে দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করেনি। পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যালিটি ভোটে টাকা সে মেরে খাইনি, তাই হামলা করা হয়েছে তার ওপর। জাকির ভোটে দাঁড়ালে জিতবে আর তাতে তৃণমূলের কায়েমি শক্তির অসুবিধা হবে। যাতে সে না ভোটে দাঁড়াতে পারে তার জন্য তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দাও।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি আকর্ষিতদের ফেরাতে হবে, ডেবরায় বললেন হুমায়ুন কবীর
মুখ্যমন্ত্রী যদি না পারেন, তদন্ত ছেড়ে দিন ২৪ ঘন্টা লাগবে না। প্রশাসনকে বলুন চ্যালেঞ্জ করছি, আসল দোষীরা সামনে আসবে।” এমন ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বহরমপুর সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।পাশাপাশি নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন অধীর চৌধুরী। বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে বসে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে মোদী – শাহ দুজনকেই বিঁধলেন লোকসভার এই নেতা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে
কেন্দ্র বাহিনী আসায় অধীর বাবু জানান, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ওপর আস্থা নেই বলেই আগেভাগে কেন্দ্র বাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে বহরমপুরে লোকসভা কেন্দ্রের ২৬৯ টি বুথে লুট করেছে তৃণমূল। এখানে ভোট মানে বুথের মধ্যে একজনকে বসতে দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের সব বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলীপের
বসলেও তাদের চুপ করে বসে থাকতে বলা হয়। ভয় দেখানো হয় এবং ভোট লুট করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সর্বত্র দুর্নীতিতে ভরে আছে।”নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় মানুষ যাতে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারে সেটাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন থাকবে বলে জানালেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584