দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের তিন নেতাকে শোকজ জেলা নেতৃত্বের

0
33

শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

ক্ষমতায় থেকে দলীয় ও সরকারি পদের অপব্যবহারের অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে শোকজ করার পাশাপাশি দলের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ গঙ্গারামপুরের তৃণমূলের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা ঘোষণা করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাস।

tmc | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের নয়া চেয়ারম্যান তথা বালুরঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর চক্রবর্তী ও দুই কোর কমিটির সদস্য ললিতা টিজ্ঞা ও সুভাষ চাকি।জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা তথা জেলার জেলা পরিষদের প্রাক্তন মেন্টর শুভাশীষ ওরফে সোনা পাল, দলের এক সময়ের সাধারণ সম্পাদক সুনির্মল জোতি বিশ্বাস ও আরেক প্রাক্তন কার্যকরি সভাপতি দেবাশীষ মজুমদারকে দলীয় পদ থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে দলের ভাবমূর্তি কালিমা লিপ্ত করার জন্য দলের উপরতলার নির্দেশে ও জেলা কমিটির সর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ তাদের শোকজ করার পাশাপাশি দলের তরফে কোন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত তিনি এই বৈঠক মারফত ঘোষণা করে জানিয়ে দিলেন।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দলের তরফে জারি করা শোকজের জবাব দল তাদের কাছ থেকে সাত দিনের মধ্যে চেয়েছে। অবশ্য তারা সেটা দিতে নাও পারেন।তবে দল যতক্ষণ না তাদের ফের দলে ফিরিয়ে নিচ্ছে ততদিন তারা দলের কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলে তিনি আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর বিজেপি যোগদান প্রসঙ্গে জল ঢাললেন শিশির

উল্লেখ্য, এই তিনজন অর্পিতা ঘোষ জেলায় সভাপতি থাকাকালীন তার ঘনিষ্ট হিসেবে জেলায় পরিচিতি যেমন ছিলেন, তেমনই ঘোর বিপ্লব মিত্র বিরোধী হিসেবে নিজেদের জাহির করেছিলেন। এদিকে গত মাসেই আজকের দিনে বিপ্লব মিত্র ফের কলকাতায় গিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তার ভাই তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে নিয়ে। এরপর থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহলে দলের এই তিন নেতার দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে জোর জল্পনা হলেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই নিয়ে একটি শব্দও আগে খরচ করেনি। বিপ্লব মিত্রের দলে ফের যোগদানের একমাসের মাথায় আজ সেটা ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন জেলা সভাপতি, বলে জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা।

যদিও এই তিন প্রাক্তন তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে দলের ও সরকারি পদে থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে থাকলেও অর্পিতা ঘোষ দলের সভাপতি থাকা কালীন তিনি এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে, এদের দুর্নীতির পারদ আরও বেড়ে যায় বলে দলের একাংশের অভিযোগ। তাদের দাবি তার ফলশ্রুতি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। শুভাশীষ ওরফে সোনা পাল জেলা পরিষদের মেন্টর পদে থাকা কালীন ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেবার জন্য প্রকাশ্যে টাকার দর হাঁকছে, এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এতে দলের ভাবমূর্তি যথেষ্টই কালিমা লিপ্ত হয়েছে। যার জন্য দলকে আগামী বিধানসভায় ভালই বেগ পেতে হবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুনঃ কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা জুড়ে আইন অমান্য,জেল ভরো কর্মসূচি বিজেপির

যদিও এই তিন নেতার সাথে তাদের বক্তব্য জানার জন্য বার বার ফোন করা হলেও কোন নেতাই ফোন তোলেননি। এমনকি টেক্সট ম্যাসেজে জিজ্ঞাসা করলেও কোন উত্তর দেননি।এদিকে বিজেপি নেতৃত্ব বলেন বাংলার লোক জেনে গিয়েছে তৃণমূল মানেই দুর্নীতির দল। তাই এই দু একটা চুনোপুটির বিরুদ্ধে লোক দেখানো ব্যবস্থা নিলেও আগামী ভোটে মানুষ আর তাদের ভোট দিচ্ছে না বলেই বিজেপি নেতৃত্বর দাবি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here