মোহনা বিশ্বাস, হুগলিঃ
করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ হুগলির মাহেশে গড়াল না জগন্নাথদেবের রথের চাকা। ৬২৪ বছরে এই প্রথম মাহেশের রথের রশিতে টান পড়লো না। তবে মন্দিরে সমস্ত রীতিনীতি মেনে সকাল থেকেই চলছিল জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয় মাহেশের রথযাত্রায়। কিন্তু এ বছর করোনা আবহে জমায়েত হওয়া নিষিদ্ধ। তাই ভক্ত সমাগমও অনেক কম হয়েছিল।
এদিন ভক্তরা দূর থেকেই জগন্নাথ দর্শন করেন। ৫০ ফুট উচ্চতার লোহার রথের চাকা এবছর থমকে গেল। রথে চড়লেন না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। মন্দিরের পাশেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মাসির বাড়ি। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলভদ্রকে। আট দিন ধরে সেখানেই থাকবেন প্রভুরা।
পয়লা জুলাই উল্টো রথের দিন আবার তাঁদের মূল মন্দিরে নিয়ে আসা হবে। এবছর জগন্নাথের বদলে নারায়ণ শিলা রওনা দিল জগন্নাথের আসল মাসির বাড়ি। অর্থাৎ মাহেশে এত বছর যে মাসির বাড়িতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ যেত সেই মাসির বাড়িতেই এবার গেল নারায়ণ শিলা। মাহেশের মন্দির থেকে কোলে করে নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি নিয়ে গেলেন শ্রীরামপুর লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ সর্বদলীয় বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে দিলীপকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
পূজার্চনা শেষে বিকেল তিনটের পর তিন বার মাহেশের রথ প্রদক্ষিণ করে নারায়ণ শিলা নিয়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাংসদ সহ সেবায়েতরা। এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী, ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, শ্রীরামপুর পৌরসভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের সদস্য সন্তোষ সিং (পাপ্পু) এবং তিয়াসা মুখোপাধ্যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584