পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
দলের সাথে যাবতীয় ক্ষোভ মিটিয়ে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শতাব্দী রায় নিজের এলাকায় এলেন। রবিবার দলের সাংসদ কে রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তারাপীঠে পূজোও দেন। সাংসদ শতাব্দী রায়, জানিয়েছেন, গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন, বৈঠকে তিনি তাঁর যাবতীয় সমস্যার কথা জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি দলের তরফে বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের ভোটে তিনি নির্বাচনে জিতে মানুষের কাজ করার জন্য সংসদে পৌঁছেছেন, সেই কাজ যদি তিনি না করতে পারেন তাহলে মানুষ তার কাছে জানতে চাইবে কেন তিনি কাজ করতে পারছেন না।
সে ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভুল ধারণা তৈরি হবে মানুষের মধ্যে। মানুষ যাতে মমতা ব্যানার্জি এবং দলকে ভুল না বোঝে সেই কারণ গুলি বিস্তারিতভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সাংসদ শতাব্দী রায় জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সমস্যাগুলো শুনেছেন, তিনি আরো দাবি করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন আপাতত তৃণমূলে থেকে গেলেও ভবিষ্যতে বিজেপিতে আসবেন শতাব্দী রায়।
আরও পড়ুনঃ আগামীকাল নন্দীগ্রামে সভা মমতার, মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে হানা শুভেন্দুর
সৌমিত্র খাঁয়ের এই দাবির উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম লোকসভার সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন, তৃণমূলে আছেন এবং ভবিষ্যতেও তৃণমূলেই থাকবেন। বিজেপি নেতারা অযথা আষাঢ়ে গল্প তৈরী করছে। যখন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি তিনি তখন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথী৷ বিভিন্ন কারণে মান অভিমান হতেই পারে তবে সেটা দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়াটাই উচিত প্রত্যেকের।
আরও পড়ুনঃ ভ্যাকসিন ইস্যুতে মমতাকে খোঁচা দিলীপের
দলকে বিপদে ফেলে বা বিব্রত করে কখনোই জননেত্রী হওয়া যায়না। রাজ্যের সকল তৃণমূল কর্মীকে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। গত কিছুদিন ধরে তার মনের ভেতরে যে দমবন্ধ অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আপাতত তিনি অনেকটাই ফুরফুরে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584