পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় গিয়ে তাঁরই সম্পত্তি নিয়ে আক্রমণ করলেন মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের মুখে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্নে হাততালিও পড়ল। একসময়ের ঘনিষ্ঠ অনুব্রতর সম্পত্তি ইদানীং কালে বেড়েছে বলেও দাবি করেন মুকুল।
মুকুল বলেন, “অনুব্রত ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বোলপুরের কালিকাপুরে নিজের নামে এবং স্ত্রীর নামে প্রচুর সম্পত্তি কেনেন। জমিদার ঘরের ছেলে হলে এখনকার দলিল কেন থাকবে।”
সম্প্রতি রাজ্যে সিবিআইকে ঢুকতে দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে এদিন মুকুল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সিবিআইকে রাজ্যে ঢুকতে দেবেন না। কিন্তু উনি জানেন না, সিবিআই সারদা, নারদার তদন্ত করছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। ফলে তাদের বাধা দেওয়া হলে আদালতকে অবমাননা করা হবে। তদন্ত আটকানোর ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই।’’
এর পরে অনুব্রতর নাম না করে তিনি বলেন, “এখানে একজন ভদ্রলোক রয়েছেন যিনি আগে বচন দিতেন। এখন আবার বিজেপির জন্য পাঁচন রেখেছেন। এই জেলার মাটি রবীন্দ্রনাথের, তারাশঙ্করের। সেই জেলায় একজন ভদ্রলোকের বচন আর পাঁচন কতদিন সহ্য করবেন? ওই পাঁচন তাকে গিলিয়ে বীরভূমের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনুন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে গেলে এখন ডিলিট দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট না দিলে উপাচার্য হওয়া যাবে না। বীরভূমেও বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এখানেও নাকি কোনও এক ভদ্রলোককে ডিলিট দেওয়া হচ্ছে।’’
এর পরে মুকুলের তোলা বেহিসেবি সম্পত্তি প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ওঁর অতীত দেখুন। ওঁনার বাবা কোথাকার জমিদার ছিলেন। আর আমি ভাঙ্গারি ঘরের ছেলে নয়। আমার বাড়িতে প্রাচীন দুর্গা ও শিব মন্দির রয়েছে।’’
রবিবার বিকেলে বীরভূমের মল্লারপুরের শিববাড়ি মাঠে ছিল বিজেপির জনসভা। সভায় জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ দিলীপ-জয়ের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে দাড়িভিটে অবরোধ বিজেপির
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584