উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
শনিবার বিজেপির হেস্টিংস অফিসে অন্য দল থেকে বিজেপিতে তেতাল্লিশ জন যোগদানকারীকে সংবর্ধনা দিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত , প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি ও প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
আরও পড়ুনঃ যোগীর পথেই শিবরাজ, লাভ জিহাদ বিলের খসড়া অনুমোদন রাজ্য মন্ত্রিসভার
এই সংবর্ধনা সভায় মঞ্চে যারা বক্তব্য রেখেছেন, তারা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দলে অবদানের কথা। খোদ শুভেন্দু অধিকারীও নিজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন,’দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলের আসন পেয়েছে।’
এর ব্যতিক্রম ছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায়। নিজের বক্তব্যে মুকুল রায় একবারও দিলীপ ঘোষের অবদান তো অনেক দূর, মুখে দিলীপের নামও উল্লেখ করেননি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে একবারও হাততালি দিতে দেখা যায়নি চানক্যকে।
আরও পড়ুনঃ লম্বা দাড়ি হলুদ জামা পরলেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না- কটাক্ষ কাকলির
আরও পড়ুনঃ তরুন প্রজন্মে আস্থা সিপিআইএমের, দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র পদে ২১ বছরের আর্যা
যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিজেপি ঘরোয়া গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা উঠে এসেছে। মুকুল রায় অবশ্য বলেছেন,’এখন তৃণমূল দল যারা করে সবচেয়ে বেশি গর্দার তারা। কারণ কংগ্রেস দলটা ভেঙে তারা সবাই তৃণমূলে চলে এসেছিলেন।
এরাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে।পরে তৃণমূলের কথা কেউ মনে রাখবে না। অনেকটা বাংলা কংগ্রেসের মতো হবে। বা তার থেকেও তৃণমূলের জনপ্রিয়তা আরও কমে যাবে। তৃণমূলে কেউ সম্মান পায় না। কিন্ত বিজেপিতে সম্মান রয়েছে। দেখুন মাত্র কয়েক বছর দলে এসে আমাকে সম্মান দিয়ে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করেছে। আর আমাকে কিন্তু কৈলাসজি, শিবপ্রকাশজি বিজেপিতে এনেছেন। এনারাই আমাকে সম্মান দিয়েছেন।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584