তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের গুদরিবাজারের জঙ্গলাকীর্ন একটি স্থানে চন্ডী মন্ডবে চারশো বছরের মা চন্ডীর পূজা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল।জঙ্গলে ঢাকা ছিল সেই মায়ের মন্দির।গত বছর জঙ্গলাকীর্ন মন্দিরের পাশের বাড়ীর এক মহিলাকে স্বপ্ন দেখিয়ে মা বলেছেন আমার পূজা আবার তুই শুরু কর।না হলে তোদের ক্ষতি হবে।স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের সমস্ত ঘটনা মহিলাটি জানিয়ে দিলে গ্রামবাসীরা উদ্যোগী হয়ে মন্দির প্রাঙ্গণ জঙ্গলমুক্ত করে আবার পূজার আয়োজন করতে । গতবার থেকে শুরু হয় পুজো।
এই চন্ডী মন্দিরের পূজিত দেবীর প্রতিমার বেশ কিছু বৈশিস্ট আছে।যেমন এক চালার প্রতিমার দেবী চন্ডির মায়ের ডান পাশে থাকা লক্ষীর পাশে গণেশের পরিবর্তে বসানো হয় কার্তিককে।আবার দেবীর বামপাশে অবস্থান করতে দেখা যায় সরস্বতী ও গনেশকে। জঙ্গলাকীর্ন দেবীর চন্ডী মন্ডপের দেওয়ালের গায়ে প্রাচীন হরপে কিছু একটা লিখা থাকলেও তা কেউ উদ্ধার করতে পারেনা।গুদ্রিবাজার এলাকার মন্দিরের পাশ্ববর্তী মানুষদের মুখে শোনা গেল বছর ৬০ আগেও এই জঙ্গলের মধ্যেই দেবী চন্ডির পূজা হত।জানা যায় স্বর্গীয় চিত্তরঞ্জন দাস ও জগবন্ধু দাসের পূর্বপুরুসেরা এই চন্ডীমন্ডটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।মন্দিরের পার্শ্ববর্তী স্থানে দাস পরিবারের বংশধরেরা বসবাস করে থাকে।বর্তমানে জঙ্গলকে পরিষ্কার করে আবার নুতন উদ্যোগে পাড়ার মানুষজন মায়ের মন্দিরে নিয়মিত প্রতিদিন আচার নিষ্ঠার সাথে পূজা করে থাকে।এবারে দেবী চন্ডীর পূজার আয়োজনে নেই কোন খামতি।এই মন্দিরের পূজাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এলাকার আট থেকে আশি বছরের সবাই গুদরি বাজারের অতি প্রাচীন দেবী চন্ডির পূজার প্রস্তুতিতে নাওয়া খাওয়া ভুলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ একটি গ্রামের আটটি পারিবারিক পুজো
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584