প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শনে মুকুল

0
121

বিশ্বজিৎ সরকার,দার্জিলিংঃ

Mukul visits the Prime Minister's place
নিজস্ব চিত্র

বুধবার জলপাইগুড়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল পরিদর্শন করতে এলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।এরপর বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে,আমি একটা রাজনৈতিক দল এবং আপনি একজন সাধারণ মানুষ।প্রথম কথা হচ্ছে যে একটা কেন্দ্রীয় সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তদন্ত করতে এসছে।তাতে যেকোন সাধারণ মানুষের উচিত তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করা।

Mukul visits the Prime Minister's place
নিজস্ব চিত্র

তাই স্বাভাবিক ভাবেই গত রবিবার থেকেই যে ঘটনা কলকাতায় ঘটল এ ভারতবর্ষের ইতিহাসে কোন রাজ্যে কোন দিনও ঘটেনি। সুপ্রিম কোর্ট আজকে সেই জায়গায় এসে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষাকর্তা ব্যাখ্যা কর্তা।তাই সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষা কর্তা হিসাবে যথাযথ রায় দিয়েছে। অপরদিকে তিনি আরও বলেন যে,সিবিআই বলেনি যে পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করতে এসেছি।

আরও পড়ুন: মুকুলের উপস্থিতিতে দিল্লীতে ভারতী পদ্ম শিবিরে

Mukul visits the Prime Minister's place
নিজস্ব চিত্র

তাকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছে।জিজ্ঞেস করলেই যে গ্রেফতার করতে হবে তার তো কোন মানে নেই। আর জিজ্ঞেসাবাদের পর যদি মনে হয় যে তাহলে গ্রেফতার হবে না।স্বাভাবিক ভাবে গ্রেফতার করাটা বড় কথা নয়।বড় হল আমি যাবই না। এই যে অহংকার এই যে উদ্ধত তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে কেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে বাঁচাতে চাইছেন সেইটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন।কিন্তু পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী এক সঙ্গে ধর্নায় কোন দিনও এর আগে দেখা যায়নি।

যদি ভাবুন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ধর্না দিচ্ছেন।আর তার পাশে বসে আছেন সিবিআইয়ের কর্তা,সিআরপিএফের কর্তা,সিআইএসএফের কর্তা,এবং তার পাশে বসে আছে বিএসএফের কর্তা তাহলে ব্যাপারটা কেমন দেখবেন।এটাই যেন সেই ঘটনা ঘটল।মুখ্যমন্ত্রী ধর্রায় বসেছেন রাজনৈতিক কারনে। আর তার পাশে বসে আছেন হচ্ছে কমিশনার অফ পুলিশ,ডাইরেক্ট অপ পুলিশ। এবং তার পাশে বসে আছেন এআইজি ল অ্যান্ড অর্ডার।

আর এরা কারা এরা আজ থেকে গত তিনমাস বাদে নির্বাচন।এরাই নির্বাচন করবে।তাহলে চিত্রটা কি দাঁড়াচ্ছে ভাবুন।অন্যদিকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে চলতি মাসের আট তারিখে কি প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে সেই উওরে তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর সভা আগামী আট তারিখ হবে।প্রধানমন্ত্রী উওরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য,উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য তাদের প্রানের কথা,মনের কথা বলবেন।

এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গে কোন গনতন্ত্র নেই।আর গনতন্ত্র বাঁচানোর জন্যই লড়াইটা লড়ে যাচ্ছি। এবং আমাদের ৫২ জন কর্মী খুন হয়েছে।এই লড়াই চলছে আগামী দিনেও এই লড়াই চলবে।ইতিহাস বলে শোষক শেষ কথা বলে না।আমরা চাইছি না ৩৫৬ ধারা,চাইছে কংগ্রেস।৩৫৬ ধারা অধীর চৌধুরী যাচ্ছে।অতএব রাজনৈতিক ভাবে আমারা কাউকে শহিদ হতে দিতে চাই না।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here