সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
ভোজালি দিয়ে চালককে কুপিয়ে খুন করার পরে সেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছিল তিন দুষ্কৃতী।কাঁকসা থানার পানাগড়ে সেই গাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল তারা।দুর্গাপুর আদালতে তোলার পর তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে ঝাড়খন্ড নিয়ে গেল ঝাড়খন্ড পুলিশ।

ধৃতদের মধ্যে ধর্মেন্দ্র যাদব কুন্দন যাদব ঝাঁঝার এলাকার বাসিন্দা।অন্যজন নিতিনকুমার সিংহ দেওঘরের বাসিন্দা।
পুলিশের দাবি,চালককে খুন করে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা। জানা যায় ধর্মেন্দ্র ও কুন্দন দেওঘর স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া নেয়।একটি শপিং মলের সামনে থেকে মাঝরাস্তায় নীতিন গাড়িতে ওঠে।পরে সুনসান জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে গলায় ভোজালির কোপ মেরে চালককে খুন করে তারা। খুনের পর কুন্ডা থানার কাশিডিহি গ্রামের কাছে ফেলে দেয় মৃতদেহ। পরে সেই গাড়িটা পানাগড়ে নিয়ে আসে তারা। পানাগড়ে গাড়ি বিক্রি করার জন্য যেভাবে ঘোরাঘুরি করছিল তাতে সন্দেহ দেখা দেয় পুলিশের।
গত ৩০ জুন দেওঘরের গাড়ি চালক ওই যুবক অজয় কুমার সিংহের দেহ উদ্ধার হয়।
কাঁকসা থানার পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে অজয় কুমারের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্যান কার্ড পায়।তাতেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের।গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় নম্বর প্লেট,সেখানে রক্তের দাগ লেগে ছিল।ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত কাঁকসা থানায় গিয়ে জেরা শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ কুয়োতে পরে মৃত মহিলা
পুলিশের দাবি,তারা জানায় রক্তের দাগ তারা জল দিয়ে ধুয়ে ছিল তারপরেও কিছুটা দাগ রয়ে যায়।দেওঘরের পুলিশকে খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে মৃতের ছবি পাঠানো হয় কাঁকসা থানায়। মৃতদেহ শনাক্ত করে তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584