পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
এক গৃহবধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার পারধা গ্রামে। মৃতা গৃহবধূর নাম চন্দনা বর্মন ( ১৯)।

ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

মৃতা গৃহবধূর বাবা গোপাল বর্মন মৃতার স্বামী বিপুল বর্মন এবং শ্বশুর শাশুড়ীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার পারধা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কাঠমিস্ত্রী বিপুল বর্মনের সাথে মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয় মালঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা গোপাল বর্মনের মেয়ে চন্দনার।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাড়ি থেকে পণের বাড়তি টাকা আনার জন্য চন্দনার উপর চাপ দিতে থাকে তাঁর স্বামী বিপুল এবং শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। গরীব ঘরের মেয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে না পারায় চন্দনার উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমবার সকালে চন্দনার বাবাকে ফোন করে জানানো হয় যে চন্দনা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়েই পারধা গ্রামে ছুটে যান চন্দনার বাবা গোপাল বর্মন। তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখতে পান চন্দনার মৃতদেহ বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। এরপরই তিনি রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি কর্মীদের মারধোরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এরপরই মৃতা গৃহবধূর বাবা গোপাল বর্মন রায়গঞ্জ থানায় চন্দনার স্বামী বিপুল বর্মন এবং শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে খুন করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584