জৈদুল সেখ, বহরমপুর:
সাংবাদিক করা তার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা কতটা জড়িয়ে থাকতে পারে, কোনটি সংবাদ আর কোনটি নয়। এই বিষয় নিয়ে আজ বেলা দশটা থেকে দুপুর দুই ঘটিকা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলা সাংবাদিক সংঘে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।
মুর্শিদাবাদ জেলা সাংবাদিক সংঘের সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস বলেন
“দৈনিক অনেক বাজারী পত্রিকা আছে তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক সংবাদপত্র গুলি দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ বলা ভালো বাজারী মিডিয়া গুলি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বামফ্রন্টের সময়ে ছোটো ছোটো জেলা ভিত্তিক পত্রিকা গুলিতে সম্মান ও মর্যাদায় সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞানপণ পাওয়া যেতে কিন্তু এখন তা পাওয়া যায় না। তাহলে প্রশ্ন উঠে পত্রিকা চালাবে কে আর চলবে কি করে?
রংধনু পত্রিকার সম্পাদক জয়নুল আবেদিন বলেন –
“কাজী নজরুল সাংবাদিকতা করতেন লড়াইয়ের ময়দান থেকে, সমাজ ও দেশের দায়বদ্ধতা বুঝতে পারতেন বলেই তিনার শিরোনাম পড়ে বৃটিশরাও ভয় খেয়ে ছিলেন! কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা এখন সবাই থান্ডা ঘরে। ফলে পত্রিকার মান কমছে। ”
জগন্নাথ মজুমদার বলেন “অতীত ইতিহাস দেখলে এ কথা পরিস্কার যে জেলা ভিত্তিক পত্রিকাগুলো সঠিক খবর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আর কোনো জুড়ি নেই, সুতরাং সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকাগুলো কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের সকলকেই দায়িত্ব নিতে হবে।”
এছাড়াও সাংবাদিকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন সুধাংশু বিশ্বাস, পুলেকেন্দু সিংহ, আনন্দ বাজার পত্রিকার সাংবাদিক মজিবুর রহমান।
প্রতিচ্ছবি অনলাইন সংবাদ ম্যাগাজিনের সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কঙ্ক, সাংবাদিক তুষার কান্তি খাঁ, ফসিল পত্রিকার সম্পাদক জৈদুল সেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালা শেষে বনভোজনের ন্যায় খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584