নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ
এবার মাশরুম চাষ বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকদের তথা জেলার বেকার যুবকদের।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাশরুমের চাহিদা খুব বেশী না হলেও রাজ্য রাজধানী কলকাতা সহ ভারতের বাইরে দেশগুলিতে মাশরুমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।বালুরঘাটের কয়েকজন মারশুম ব্যবসায়ীর উদ্যোগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চলছে এই মারশুম চাষ। একটি সংস্থার মাধ্যমে বালুরঘাটে আবারও শুরু হয় এই মাশরুম চাষ।
তবে ঘরের ভিজে স্যাঁতস্যাতে জায়গায় গজিয়ে উঠা মাশরুমের পরিবর্তে ঘরের পরিস্কার পরিবেশে গজিয়ে উঠা বর্তমানে উৎপাদিত এই মারশুমগুলি যেমন একদিকে পেস্টিসাইড তেমনি মারশুমগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে বলে উদ্যোগ গ্রহণকারী সংস্থাটির দাবী।উদ্যোগ গ্রহণকারী সংস্থাটি সূত্রে জানা গেছে একটি ১২০ স্কোয়ার ফিট আয়তনের ঘরের ভিতরে দড়ির সাহায্যে একশোটি মাশরুমের বেড বসানো সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ লোধা-শবর জনগোষ্ঠীর মহিলাদের
মাত্র পঞ্চাশ দিনের মধ্যেই সেই বেডগুলি থেকে জন্ম নেওয়া মাশরুমগুলিকে প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করলে প্রতিমাসে ১৫০০০-১৮০০০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব সামান্য পরিশ্রমের বিনিময়ে।কৃষি পণ্য উৎপাদন এবং বিক্রয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই সংস্থাটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকদের এবং বেকার যুবকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তৎসহ চাষের জন্য পরিকাঠামো গঠন এবং বীজ প্রদানের জন্য চাষীদের কাছ থেকে সামান্য অর্থ নিয়ে এই মাশরুম চাষ করতে চাষীদের উৎসাহ যোগানোর পাশাপাশি চাষীদের দ্বারা উৎপাদিত মাশরুমকে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করছে সংস্থাটিই।
ফলে গতানুগতিক চাষের ভাবধারার বাইরে গিয়ে বাড়তি লাভের আশায় বালুরঘাট,মিলন ঠাকুর এদিন জানান ইতিমধ্যেই তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে এবং জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর দলগুলিকে এই মাশরুম চাষের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ডিআরডিসি-র কাছে এবং বিভিন্ন ব্লকগুলির বিডিওদের কাছে আবেদন জানিয়েছে। বালুরঘাট ব্লকের কৃষি সহ অধিকর্তা ডাঃ পার্থ মুখার্জী এই প্রসঙ্গে বলেন আমাদের কাছে সহযোগিতার আবেদন করলে মাশরুম চাষের জন্য আমরা তাদেরকে প্রশিক্ষণগত সাহায্য করব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584