কার্ত্তিক গুহ, ঝাড়গ্রামঃ
জঙ্গলে গিয়ে মাশরুম খুঁজে আনার দিন শেষ। এ বার বাড়িতেই মাশরুম তৈরি করবেন লােধা-শবর মহিলারা। ফলে বছরভরনিজের বাড়িতেই মাশরুম চাষ করে আরও বেশি রােজগার করতে পারবেন তাঁরা।গত বছর সাত জন শবরের মৃত্যুর পর পুরাে জনগােষ্ঠীটির সামগ্রিক উন্নয়নে সচেষ্ট হয়েছে প্রশাসন।মাশরুম চাষে শবরদের যুক্ত করা,সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ। ঝাড়গ্রামে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় একশো জন মহিলাকে।লালগড় ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের মােট দশটি স্বনির্ভর
দলের মাধ্যমে বাছাই করা হয় ওই মহিলাদের।ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, ‘আনন্দধারা প্রকল্পে লােধা-শবরদের স্বনির্ভর
দলগুলি নতুন করে গড়ে তােলা হচ্ছে। তার পর উদ্যান পালন দপ্তরের মাধ্যমে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমে প্রতিটি দলকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। যা দিয়ে
মহিলারা মাশরুম তৈরির পরিকাঠামাে গড়ে তুলতে পারবেন। আগে জঙ্গল থেকে মাশরুম কুড়িয়ে এনে বাজারে বিক্রি করতেন লােধা-শবর মহিলারা। তাতে হাতে কিছু টাকা পেলেও তা
সরকারি তরফে মাশরুম তৈরির প্রয়ােজনের তুলনায় ছিল সামান্য।উদ্যোগ নেওয়ায় আর জঙ্গলে যেতে হবে না তাঁদের। এ দিন প্রশিক্ষণ
পেয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী শবর মহিলারা।মাশরুম তৈরি উপকরণ হল খড়, মাশরুম বীজ, জল, চটের বস্তা ও পলিথিন। সহজলভ্য ওই উপকরণ গুলি খেয়ে এক মাসের মধ্যে মাশরুম
তৈরি করা যাবে নিজের বাড়িতে। সেই কৌশল রপ্ত করলেন লালগড়ের পূণাপাণির রচনা শবর, জঙ্গল খাসের কাজল শবর। কাজল শবর বলেন, ‘১ কেজি ছাতু বাজারে বিক্রি করলে ২৫০
৩০০ টাকা পেতাম আমরা।এখন সারা বছর ছাতু বিক্রি করে ভালাে রোজগার করতে পারে।জেলাশাসক বলেন, আগামী দিনে শবরদের
তৈরি মাশরুম বিক্রি করার জন্য সরকারি ভাবে সহায়তা করা হবে।এর ফলে তারা মাশরুম বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: পর পর দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায়,মা মেয়েকে অ্যাসিড আক্রমনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584