নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
ঘর থেকে আমরা বড়রা বেরোলেও বেরনোর উপায় নেই ওদের। ওদের সুরক্ষার কথা ভেবেই আমরা বড়রা ওদের নিয়ে বেরোই না বাইরে। স্কুল বন্ধ, সুইমিং ক্লাস বন্ধ, নাচ-গান-আঁকার ক্লাসও চলছে অনলাইনে। সুতরাং, No way to go out!
তাই মনটা আজ বড় খারাপ ওদের। অনলাইন ক্লাসেও মজা পাচ্ছে না কেউ কেউ। বন্ধুদের সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে যে মজা ওরা পায় তা আবার কবে পাবে তা নিয়ে বড় একটি প্রশ্নচিহ্ন আছে। অগত্যা ঘরেই চলছে দৌরাত্ম। আর ওদের সেই দৌরাত্মকেই মিউজিক্যাল করে তুলেছেন পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী।
দৌরাত্ম শুধু দুষ্টুমিতে থেমে নেই ওদের। সারাদিন নানারকমের শিল্পকর্ম নিয়েও ব্যস্ত থাকে ওরা। কেউ আঁকে, কেউ গায়, কেউ নাচে, কেউ দাবা-লুডো খেলে, কেউ আবার গেম খেলে, কেউ সাইকেল চালায়। আরও কত কী যে ওরা করে তার হিসেব মেলানো কঠিন। ওদের সারাদিনের কর্মকাণ্ডকে এক জায়গায় বাঁধলেন পরিচালক।
কী ভাবে? এ দেশের নানা জায়গা সহ বাংলাদেশের এক ঝাঁক কচিকাঁচার দৌরাত্ম এবং কর্মকাণ্ড তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে জোগাড় করেছেন তিনি। আর তাকে বন্দি করেছেন একটি মিউজিক্যাল শর্টস-এ।
সঙ্গীত পরিচালনায় মৌসুমী চ্যাটার্জি। আয়োজনে অরুণাভ রায়। গান গেয়েছেন মৌসুমী চ্যাটার্জি, অরুণাভ রায়, কোজাগরী বসু। সম্পাদনায় অরিন্দম গাইন। গানের কথা এবং পরিচালনায় অনির্বাণ চক্রবর্তী।
অনির্বাণের এই মিউজিক্যাল বাচ্চা পার্টির ছোটে ওস্তাদদের নাম না নিলে চলে? তাঁরা হলেন- ইনিকা, রাজবীর, ইনায়া, দিশা, আরিয়ান, যশ, শ্রেয়ান, সৃঞ্জয়, সোহিনী, তনিষ্কা, বেদান্ত, দীপরাজ, সপ্তক, আরুশি, আদৃক, অর্চিস্মান, তুরবসু, বিবস্বান, শতানিক, প্রেয়সী, অন্যাশা, আকৃষ, শ্রেয়ান, আরিহান, রিয়াংশি, যশরাজ, রিয়াংশিকা, আয়াঙ্কা, সঞ্চয়ন, শিয়া, দক্ষ, আরাভ, পৃথা, কোজাগরী, উজান।
আরও পড়ুনঃ ওপার বাংলার শিল্পীর পেনসিল বন্দি সুশান্ত সিং রাজপুত
পরিচালকের কথায়- “এই লকডাউনের দৌলতে অনেক কিছু ঘটে চলেছে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে। আর তা নিয়ে ভাবতেই আমরা ব্যস্ত। অথচ গৃহবন্দি বাচ্চাগুলোর এই সময়ে কী অবস্থা তা আমরা ভেবে দেখি না। ওদের দিকে তাকানোর সময়ই পাই না। ‘রোদ্দুর হতে পারতাম’ ওদের দিকে তাকানোর এক প্রচেষ্টা। তাই ওদের সারাদিনের নানান কর্মকাণ্ড নিয়ে একটা মিউজিক্যাল বাচ্চা পার্টির আয়োজন করলাম।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584