অতীতের স্মৃতি ভুলে উন্নয়নের পথে মৌশুনী

0
112

সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

musunie on the way of development | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

নদীর ভাঙা বাঁধ।ঝোড়ো হাওয়াই নোনা জলের ঢেউয়ে দাপটে হারিয়েছে খর আর টালির ছাউনি দেওয়া বহু মাটির বাড়ি।

বর্ষা নামলে জলের উপর বসে থাকতে হতো গরু ছাগল সাপ পোকামাকড়ের সঙ্গে।দুর্বিষহ জীবন যাপন করতেন দ্বীপবাসী।আইলার সেই ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের কথা আজও স্মৃতি হয়ে রয়েছে দক্ষিন সুন্দরবনের মৌশুনী দ্বীপবাসীর মনে।

tourist | newsfront.co
অরুময় গায়েন পর্যটক।নিজস্ব চিত্র

সালটা ২০০৯।যখন বাম ক্ষমতায় ছিল রাজ্য। এখানে প্রতিকূল পরিবেশ যে সমস্যা ছিল সমাধানে ব্যর্থ ছিলেন তৎকালিন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি।দক্ষিন সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের মৌশুনী গ্রামপঞ্চায়েত।

Hotel owner | newsfront.co
মেঘনাথ বারুই,হোটেল মালিক। নিজস্ব চিত্র

দ্বীপের তিনটে মৌজার পশ্চিম প্রান্ত সর্বশান্ত করে দিয়েছে আইলা।এর পর পরিবর্তন হয়েছে।প্রত্তাশা প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে অভাব অনটন মানুরা আইলা, লাইলা ,হুদহুদ,ফনীর মতো ঝড়ের পর অবশেষে বাঁধ পেয়েছে। প্যাচপ্যাচে কাদা রাস্তায় ইট কংক্রিটে রুপান্তরিত হয়েছে মৌশুনী দ্বীপ। ফেরী ঘাট থেকে বিদ্যুতায়ন , পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড মিটিং এ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী

Local person | newsfront.co
সুজাতা দলুই,এলাকাবাসী।নিজস্ব চিত্র
Local person | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

পরিপূর্ন চাহিদা মিটেছে দ্বীপে। আসছে পর্যটকেরা।হুজুকের ঘাট থেকে দক্ষিন পশ্চিম আর পূর্ব প্রান্ত বরাবর গড়ে উঠেছে গ্রাম্য কটেজ।যা অভাব অনটন দুর করে আর্থিক উন্নতি ঘটাচ্ছে দ্বীপবাসির মনে। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সল্টঘেরিতে সাগরের পাশে গ্রাম্য কটেজ উদ্যোগ গ্রহন করেন সদস্য আব্দুল কায়েম খান।

নিজস্ব চিত্র

পরে থাকা সাদাবালির চর আর ঝাউ বনে বনদফতরের অনুমতি নিয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সহযোগে গড়ে তোলেন গ্রাম্য ৩৫ টি কটেজ ।দক্ষিন সুন্দরবনের যা উদবৃত্ত করেছে মৌশুনী দ্বীপকে। দিনের পর দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা ।

তাদের কথা মাথায় রেখে রাস্তা ঘাট থেকে ফেরী সংস্করনের দাবি রেখেছেন কটেজ মালিকেরা।নিরাপত্তা নিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে।চাওয়া পাওয়া দ্বীপবাসিদের কথা মাথায় রেখে দ্বীপের পরিকাঠানো উন্নতি করতে ঘুরে দেখলেন সাগর বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা।

আইলা বাঁধের টাকা কেন্দ্র খরচ না করলেও সেচ দফতরের তরফে খরচ হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা।শুধু তাই নয় মৌশুনী দ্বীপকে উজ্জীবিত করার জন্য সুন্দরবন দফতর সহ সাগর বকখালি উন্নয়ন দফতর আরো কাজ করার প্রত্তাশা দেন সাগর বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা।মৌশুনী মানুষের অভাব অভিযোগের দিন শেষের পথে।

উন্নয়নের জোয়ারে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দ্বীপবাসি।দুঃস্বপ্ন ভুলে নতুন করে বাঁচার প্রয়াস জেগেছে পঁয়ত্রিশ হাজার মৌশুনী দ্বীপবাসির মনে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here