নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘মাই শর্টস’ নামে এক স্বল্প দৈর্ঘের বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছে ‘মাই সিনেমা হল’। বলা বাহুল্য, স্বল্প দৈর্ঘের চলচ্চিত্রজগতে এহেন প্রয়াস এই প্রথম।একই সঙ্গে ছবির প্রদর্শন এবং অর্থ উপার্জনের সুবর্ণ সুযোগ ছবি নির্মাতাদের কাছে! নির্বাচিত সব গুলি ছবিই দুর্গাপুজোর সময়ে ‘মাই সিনেমা হল’- এ দেখানো হবে।
প্রতিটি ছবি থেকে উপার্জিত অর্থ ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে। ‘মাই শর্টস’ ছবি নির্মাতা এবং দর্শকের জন্য এক নতুন দিগন্ত দেখাবে। ‘মাই শর্টস’ প্রসঙ্গে ‘মাই সিনেমা হল’-এর কর্ণধার কল্যাণময়
চট্টোপাধ্যায় বলেন- “এই উৎসব তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে তাঁদের সৃষ্টি প্রদর্শনের এক বিরাট সুযোগ এনে দিচ্ছে।ইতিমধ্যে আমরা চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রভূত সাড়া পেয়েছি।অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় স্বল্প দৈর্ঘের ছবি প্রদর্শনের পরিকল্পনাও আমাদের আছে।”
আরও পড়ুনঃ জয়তীর কণ্ঠে মহালয়ার গান ‘নদী বলো রে বলো’
‘মাই সিনেমা হল’- এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এই উৎসবের পরিকল্পক, যাত্রিক চক্রবর্তী জানান– “সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা নানারকম স্বল্প দৈর্ঘের চলচ্চিত্র উৎসব দেখে থাকেন।আমি মনে করি সেগুলো দেখবার যোগ্য নয় এবং নির্বাচনপ্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতা নেই।উৎসবের যোগদানকারীদের কোনও ধারণাই থাকে না তাঁদের ছবি কোনওদিন প্রদর্শিত হবে কিনা।
‘মাই শর্টস’-এর নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং বিচারকদের যোগ্যতা সন্দেহাতীত। ছবি প্রদর্শন থেকে নির্মাতারা
অর্থ উপার্জনের সুযোগও পাচ্ছেন।”বিচরমণ্ডলীও এই উৎসবের আরও একটি আকর্ষণ। অপর্ণা সেন, অর্ঘকমল মিত্র, অনীক দত্ত, অভীক মুখোপাধ্যায়,সোহাগ সেনের মতো বিনোদন ব্যক্তিত্বরা বসবেন বিচারকের আসনে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচকদের বিবেচিত পুরস্কার ছাড়াও থাকবে একটি দর্শক নির্বাচিত পুরস্কার।
আরও পড়ুনঃ কোন রহস্যের মায়াজালে বনি, ঋতাভরী, অঙ্কুশ?
অনীক দত্ত বলেন- “এই উৎসব চিত্র নির্মাতাদের গুণগ্রাহী দর্শক গোষ্ঠীর কাছে নিজেদের ছবি দেখানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। আমার স্থির বিশ্বাস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফিল্ম উৎসবে ভালছবি বেছে নেবার জন্য এই উৎসবের ছবিগুলির ভাণ্ডার প্রয়োজনীর বলে গণ্য হবার যোগ্যতা রাখবে।“
‘মাই সিনেমা হল’ ডিজিটাল জগতের প্রদর্শন মঞ্চ।সাধারণ ছবি মুক্তির যেসব জটিলতা থাকে তা সম্পুর্ণ এড়িয়ে চিত্র নির্মাতারা তাঁদের ছবি সহজেই দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।দর্শকরাও তাঁদের পছন্দের ছবি যে কোনও সময়ে, যে কোনও জায়গায় দেখতে পারবেন।এটি একটি অ্যাপভিত্তিক OTT মঞ্চ।যেখানে যে ছবি দেখছেন কেবলতারই জন্য টিকিট কাটবেন।
আরও পড়ুনঃ টিজার নিয়ে মহালয়ায় ‘সূর্পণখার আগমন’
দর্শকরা টিকিটের দাম দিয়ে দেখছেন আর চিত্র নির্মাতারা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন, মধ্য পথে কোনও তৃতীয় ব্যাক্তিকে কিছু দেবার প্রয়োজন হচ্ছে না। এ ছাড়া ‘মাই সিনেমা হল’ থেকে পাইরেসি বা চুরি করা সম্ভব নয়।তার অর্থ, চিত্র নির্মতারা এই সব অবান্তর বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের সৃষ্টির প্রতি সম্পুর্ণ মনোনিবেশ করতে পারবেন।
‘মাই সিনেমা হল’- এর সূচনা হল কলকাতায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।সূত্রের খবর অনুযায়ী মাত্র চার মাসের মধ্যে ১২,০০০ ডাউনলোড হয়েছে। একশোর বেশি নাটক, অল্প দৈর্ঘের এবং পূর্ণ দৈর্ঘের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।এই মঞ্চে এখন বাংলা ছাড়াও হিন্দি, ইংরেজি, অসমিয়া, ওড়িয়া ও কন্নড় ছবি দেখানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্স খোলার অনুমতি পাওয়া যায়নি।অনুমতি পেলেও বদ্ধঘরে দর্শকযাবার সাহস করবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তুঙ্গে। সেই জায়গায় দাঁড়িতে আপাতত বাড়িতে বসে মনোরঞ্জনের স্বাদ নেওয়ার আদর্শ উপায় ভার্চুয়াল সিনেমা হল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584