পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
বন্দী মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর দিনাজপুর জেলা সংশোধনাগারে।সংশোধনাগারের ভেতরে মাথা ঘুরে পরে যায় অনিল মার্ডি ( ৪২) নামে এক বন্দি।তাকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরের দিন তার মৃত্যু হয়।মৃত বন্দি অনিল মার্ডি দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার বোগ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল অনিল মার্ডির সাথে বিয়ে হয় দ্বীপনগরের বাসিন্দা মার্সিলা হাঁসদার। স্ত্রী মার্সিলা হাঁসদার অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী অনিল তাকে পছন্দ করতেন না।তার স্বামীর সাথে অন্য কোনও মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ও খরপোশের মামলা করেন স্ত্রী মার্সিলা হাঁসদা। ২০১৬ সালে স্বামী অনিল মার্ডিকে প্রথম বছর মাসিক ৩০০০ টাকা এবং পরবর্তী বছর থেকে ৬০০০ টাকা খরপোশ আদায়ের নির্দেশ দেয়। তবে জানা যায় কোনও খরপোশই দেয়নি অনিল মার্ডি।আদালত অবমাননার দায়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারী অনিল মার্ডির জেল হয়।রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে ৭ ফেব্রুয়ারী মাথা ঘুরে পরে যান তিনি।সাথে সাথে তাকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ার থেকে ধৃত পুলিশ সাব ইনস্পেকটর
গতকাল রাতে মৃত্যু হয় বন্দি অনিল মার্ডির।এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584