অগ্রণী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কাব্য ও কলার উদ্যোগে শ্রুতি নাটক উৎসব

0
260

সুদীপ কুমার খাঁড়া,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

নাট্যাপ্রেমীরা উপভোগ করলেন দুদিনের শ্রুতি নাটক উৎসব।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ হলো দুদিনের শ্রুতি নাটক উৎসব।মেদিনীপুর শহরের অগ্রণী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কাব্যর ও কলার উদ্যোেগে প্রয়াত অরুন মাইতি ও প্রয়াত বাসুদেব দাশগুপ্তকে উৎসর্গীকৃত নগর ও মঞ্চ মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র নিলয়ে আয়োজিত এই উৎসবের সূচনা হয় সোমবার সন্ধ্যায়।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী কাজল সুর।

নিজস্ব চিত্র

প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মুহূর্তে শঙ্খধ্বনি করা হয় কাব্যব ও কলার পক্ষ থেকে।রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যুদান করেন সঙ্গীতগুরু জয়ন্ত সাহা।এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষণচন্দ্র ওঝা, প্রণব চক্রবর্তী, হায়দার আলি, বিদ্যুযৎ পাল, অসীম কুমার বসু, অজন্তা রায়,জয়ন্ত মন্ডল সহ মেদিনীপুরের সংস্কৃতি জগত ও মেদিনীপুর বাচিক শিল্পী সংসদের বিশিষ্টজনেরা।সবাইকে স্বাগত জানান কাব্যৃ ও কলার কর্ণাধার চিত্তরঞ্জন দাশ।কাব্যজ ও কলার পরিবেশনার কাজল সুরের লেখা “গুরদেব” নাটকটির মাধ্যমে শ্রুতি নাটক উৎসবের সূচনা হয়।সোমবার দশটি শ্রুতি নাটক হয়।বিজয়িনী,মে আই হেল্প ইউ এবং সবুজ দ্বীপ নাটকটি পরিবেশন করেন কাব্যি ও কলার শিল্পীরা।দম্বল নাটকটি পরিবেশন করে বাচিকের শিল্পীরা।’আবৃত্তি তীর্থ’ এর শিল্পীরা পরিবেশন করেন “বৌমা বনাম শাশুড়ি” নাটকটি।ঝরা ফুলের গন্ধ নাটকটি পরিবেশন করেন সৃজনী’র শিল্পীরা।অতিথি শিল্পী মৌলি বণিক একক কন্ঠে পরিবেশন করেন বৈদ্যকনাথ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘দ্বি-বচন’ নাটকটি।স্বর আবৃত্তি সংস্থার একঝাঁক কলাকুশলী অংশ নিলেন বাকসিদ্ধ বাঞ্ছারাম নাটকটিতে।এই উৎসবে অতিথি শিল্পী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, শিপ্রা নাগ,মৌলি বণিক, মৌসুমী চ্যাবটার্জী, সন্ন্যাধসী মাইতি,মিঠু মাইতি প্রমুখ। সোমবারের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তনুশ্রী চক্রবর্তী।মঙ্গলবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে পরিবেশিত হয় আরও দশটি শ্রুতি নাটক।মঙ্গলবার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অমিয় পাল, পার্থ মন্ডল, জয়ন্ত চক্রবর্তী, মালবিকা পাল,পার্থ মুখোপাধ্যায়,প্রদীপ দেব বর্মণ সহ সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টর।এদিন কাব্যচ ও কলার শিল্পীরা পরিবেশন করেন পারবো পারবো পারবো,বউ কথা কও, দুই পার, ও ‘ভালোবাসা’ নাটক গুলি।কাব্য ডিঙার শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘কর্তা গিন্নি সংবাদ’ নাটকটি।ওঁকার মিউজিক্যাল সার্কেলের শিল্পীরা পরিবেশন করেন সুক্ষ্ম বিচার নাটকটি।অতিথি শিল্পী মিঠু মাইতি ও সন্ন্যালসী মাইতি পরিবেশন করেন কাঠুরিয়ার গল্প নাটকটি।

নিজস্ব চিত্র

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় ও মৌসুমী চ্যা টার্জী পরিবেশন করেন ‘চিরসখা ছেড়ো না মোরে’ নাটকটি।গন্ধরাজের গল্প শ্রুতি নাটকটি পরিবেশন করেন ‘আরুত’ সংস্থার শিল্পীরা। ‘বাপের চা’ শ্রুতি নাটকটি পরিবেশন করেন ‘কথামালা’ সংস্থার শিল্পীরা।দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অমিত চক্রবর্তী।সুন্দর আবহ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে গোটা অনুষ্ঠানটিকে এক অন্যি মাত্রা এনে দেন যন্ত্রসংগীত শিল্পী প্রদীপ দাস। গোটা উৎসবটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান চিত্তরঞ্জন দাস।দুদিনের এই উৎসবে আগত অতিথি শিল্পী ছাড়াও শ্রুতি নাটকের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকদের হৃদয় জিতলেন অমিয় পাল, মালবিকা পাল, চিত্তরঞ্জন দাশ, কৌস্তুভ বন্দ্যোরপাধ্যাীয়, স্বাগতা পান্ডে, গৌতম সেন, ইন্দ্রানী দাশগুপ্ত, অংশুমান দাশগুপ্ত,গোপা ব্যািনার্জী, দীপক বসু, শুভদীপ বসু, সুজাতা চক্রবর্তী,সীমা পট্টনায়েক, তনুশ্রী চক্রবর্তী, রাহুল মুখার্জি, আগমনী কর মিশ্র,মৈথিলী ঘোষ, মিঠু দাস,পলি পাহাড়ি,কুমারেশ দে, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রানি দাস দন্ডপাট,অনন্যাম সামন্ত, মিঠু দাস,অনন্যার দাস, মৌপিয়া কুইলা, প্রগতি মল্লিক, মিনতি মন্ডল, সুমিতা ভট্টাচার্য, শিল্পী মুখার্জি, সর্বাণী ঘোষ,সৌনক মন্ডল, কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্ত,দিপালী সাহু , শম্পা মন্ডল, মৃদুলা ভূঞ্যা ,সৌর্যদীপা নাগ, স্মৃতিকণা দাশ অধিকারী, সৈকত জানা, সুদীপা মাইতি সহ সমস্ত কলাকুশলীরা। অতিথি শিল্পী হিসেবে এই শ্রুতি নাটক উৎসবে যোগ দিয়ে খুশি শিপ্রা নাগ,মৌলী বণিকসহ অন্যাীন্য্রা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here