শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর রাজ্য ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পাঠানোর প্রচেষ্টা শুরু করলেও দুর্নীতির কারণে তা যে বেহাত হয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠছিল বারেবারেই।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে রাজ্যের সামনে এখনও পর্যন্ত এসেছে ৪০ হাজার দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তের পর এর মধ্যে ৩৪ হাজার অভিযােগই সত্য বলে কবুল করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। একই সঙ্গে এবার শুরু হয়েছে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পালা।
নবান্ন সূত্রে খবর, আমফানের ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ৬৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রাজ্য সরকার ত্রাণ-সহ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই রাজ্যের সমস্ত জেলায় প্রচুর আবেদন জমা পড়ে।
আরও পড়ুনঃ হেমতাবাদে রক্তদান শিবির
কিন্তু অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে নাম বা এলাকা ভুল দেখিয়ে সেই সাহায্য অন্যজনের কাছে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। টাকা তুলে নেওয়ার পর অনেক সময়েই সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে প্রমাণ দাবি করতেই সমস্ত প্রমাণ সহ তা ফের সরকারের কাছে পেশ করেছে ওই সমস্ত পরিবারগুলি।
নবান্নের দাবি, আবেদন করেও যে ৩৪ হাজার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায়নি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে শীঘ্রই ২০ হাজার টাকা করে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্যানিটাইজ করা হল শালবনী করোনা হাসপাতাল
দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যে ৪ জেলার ৫ জন বিডিওকে শো-কজ নোটিশ জারি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও সরকারি টাকা মেলায় বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে দল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্য শহরে ও গ্রামে এবার যথাযথ ভাবে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে তবেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584