দিনহাটায় সিএএ বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভ

0
42

অমৃতা চন্দ,কোচবিহারঃ

সিএএ-র মত কালাকানুন বাতিলের দাবিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে দিনহাটার পেটলায় অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। রবিবার দিনহাটা এক ব্লকের পেটলায় বাজার সংলগ্ন রাস্তার ধারে সকাল থেকে একটানা কয়েক ঘন্টা অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার নেতৃত্বে এদিনের এই অবস্থান-বিক্ষোভে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সিতাই বিধানসভা কার্যকরী কমিটির আহ্বায়ক কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন, দিনহাটা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রসন্ন দেবশর্মা, সমরেশ দেব, তৃণমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের দিনহাটা ১ ব্লক সভাপতি পুলক চন্দ্র বর্মন, কোচবিহার জেলা পরিষদের মেন্টর সুবল রায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তপন বর্মন, দলের পেটলা অঞ্চল কনভেনার শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিন এনআরসি এবং সিএএ আইনের বিরোধিতা করে দিনহাটা ১ ব্লকের পেটলায় অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সিএএ আইনের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যে আসামের ১৯ লক্ষ লোককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

সেই মানুষগুলোকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ রাজ্যের মানুষ কেউ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন এ রাজ্যে এনআরসি হবে না বলেও তারা স্পষ্ট করে দেন। তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন এই সরকার দেশের মানুষের সাথে নানাভাবে চক্রান্ত করছে।জিনিসপত্রের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন মানুষের মনকে ঘোরানোর জন্য এনআরসি এবং সিএ সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। কালা এই কানুন এর বিরুদ্ধে এ রাজ্যের পাশাপাশি দেশবাসীকে রক্ষা করতে দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বে গোটা দেশজুড়ে সেই আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে। কালা এই কানুন বাতিলের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাদের আন্দোলন চলবে।

অবস্থান-বিক্ষোভ বিধায়ক ছাড়াও তৃণমূল নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এবং এই আইনকে বাতিলের লক্ষ্যে তাদের আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে চলছে। তৃণমূল নেতৃত্ব আরও বলেন এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর-র মত কালা আইন যাতে কেন্দ্রীয় সরকার কোনভাবেই প্রয়োগ করতে না পারে এবং দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দিনহাটার পেটলায় অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত হয়। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দলের পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলেও বিধায়ক জানান।

তৃণমূল নেতা বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে আগামী সাত দিন ধরে এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর-র বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করে তুলতে দিনহাটাতে এদিন অবস্থান-বিক্ষোভ হয়।যতক্ষণ পর্যন্ত এই কালাকানুন বাতিল না করবে কেন্দ্রীয় সরকার ততক্ষণ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাদের আন্দোলন চলবে। এদিন পেটলায় তৃণমূলের এই অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলনকে ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here