অনির্বাণ দে
2016 সালের 15 ই অক্টোবর কয়েকজন এ বি ভি পি কর্মীর সঙ্গে বচসা হয়, তারপর নিখোঁজ সন্তান। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি হোস্টেল থেকে। তারপর গত 366 দিন ধরে যমুনা নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক কিউসেক জল, প্রতিদিন সূর্য উঠেছে গোধূলি পেরিয়ে অস্তমিত হয়ে আঁধার নেমেছে কিন্তু মা ফতিমা নাফিসার মনের গহীন অন্ধকারে কোনো চাঁদ সূর্য আলো আনতে পারেনি। দেশ উত্তাল হয়েছে তবুও বিগত এক বছরের প্রতীক্ষায় উত্তর সেই একই তাঁর সন্তান নাজিব আহমেদ আজও নিখোঁজ।
নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ পেতে হয়েছিলেন কোর্টের দারস্থ। কোর্ট CBI এর ভূমিকায় খুশি না হয়ে যা বলে তা ভরৎর্সনা করে।
মা ছোটে CBI দপ্তরের সামনে।ধর্ণায় বসেছিলেন প্রৌঢ়া ফতিমা ছেলেকে ফিরে পেতে। কিন্তু বিচারের বাণী যে আজও নীরবে নিভৃতে কাঁদে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী তাঁকে রাস্তায় ফেলে টানতে টানতে গ্রেফতার করে।
যে সন্তানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার কথা ছিল ফতিমার আজ সে নিখোঁজ।নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে দিশেহারা মা পুলিশের গ্ৰেফতারি এড়াতে দৃঢ়চিত্তে আঁকড়ে ধরছেন লোহার একটি ছোট স্তম্ভকে।এই দৃশ্যই যেন ভারতের দ্ব্যত্ক হয়ে উঠেছে। যেন ভারত মাতা আঁকড়ে ধরেছেন তাঁর সন্তানকে। দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ। প্রশ্ন একটাই মা কি আবার পারবেন জড়িয়ে ধরতে তাঁর সন্তানকে? পাবেন কি শীতল শূন্য হৃদয়ে বাৎসল্যের উষ্ণ ওম্? না কি রাষ্ট্রযন্ত্রের নিদারুন হৃদয়হীনতায় নিষ্পেষিত হবে মাতৃত্বের হা হা কার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584