শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃ
রথের জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা রয়েছে মাসির বাড়িতে। এই মাসির বাড়িতেই আটদিন ধরে ভক্তদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের কাজ চলছে। এককথায় দরিদ্র নারায়ন সেবা। আর এই দরিদ্র নারায়ন সেবার কাজে যুক্ত হয়েছেন এলাকার এক মুসলিম ভাই। নজরুল শেখ নামে এই ব্যক্তি তার আর্থিক আনুকূল্যে দরিদ্র নারায়ন সেবার আয়োজন
হয়েছিল সোমবার।
সোমবার এলাকার বাসিন্দারা মানুষ বিনামূল্যে প্রসাদ গ্রহণ করেন । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বহন করে চলছে রথযাত্রা উপলক্ষে বিদ্যানগরে।
বিদ্যানগর কালিতলা বাজার কমিটির উদ্যোগে বিদ্যানগর যুব সংঘের পরিচালনায় ও মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত এই রথযাত্রায় আটদিন ধরে চলছে নানান রকম কর্মকান্ড। বিদ্যানগর বাজার থেকে এই রথ যাত্রার শুভ সূচনা হয়। সূচনালগ্নে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন দেবনাথ। সেই সাথে ছিলেন বিদ্যানগর গয়ারামদাস বিদ্যামন্দির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিভাস বিশ্বাস।
বিদ্যানগর পঞ্চানন ও বিপত্তারিণী মন্দিরে আট দিন ধরে বলরাম সুভদ্রা জগন্নাথ অধিষ্ঠিত থাকবে। আর এই আট দিন ধরে চলবে বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ।একইসঙ্গে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলায় বাউল গান লীলা কীর্তন রামায়ণ গান হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই সকল কর্মকান্ডে স্থানীয় হিন্দু মুসলিম সকলেই হাত লাগিয়েছে রথযাত্রা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে। মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত মাসির বাড়িতে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা থাকাকালীন নিরলসভাবে সেবা করে চলছেন মহিলাদের মধ্যে অন্যতম মনীষা বিশ্বাস অর্চনা বিশ্বাস শিক্ষিকা অঞ্জনা দাস চায়না দাস অঞ্জলি দাস প্রমুখ।
বিদ্যানগর যুব সংঘ পরিচালিত এই রথেযাত্রা আটত্রিশ বছর ধরে পরিচালিত হয়ে চলেছে।প্রতিবছরের মতো এবছরেও রথযাত্রা উপলক্ষে এলাকার মানুষ ছাড়াও বহিরাগতরাও এসে ভিড় করছেন। শিক্ষক বিভাগ বিশ্বাস জানিয়েছেন যে এসব এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষের সংখ্যা বেশ কিছু রয়েছেন। তাঁরাও এই এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে হাত লাগান এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করে চলছেন আমাদের এই রথযাত্রা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত বিনামূল্যে প্রসাদ পাচ্ছেন এবং আগামী শনিবার ছাপান্ন রকমের ভোগ প্রসাদ দেওয়া হবে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা কে। এই ভোগ প্রসাদের প্রধান উদ্যোক্তা মনীষা বিশ্বাস। তিনি ইতিমধ্যেই সকল ভক্তদের কাছে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঐদিন সকল ভক্ত যেন প্রসাদ পান। আরো জানা গিয়েছে যে এই মন্দিরের সেবার কাজে বহু সম্পত্তি রয়েছে যা আগামী দিনে এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। এই ধরনের উৎসব ঘিরে এলাকায় উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে। প্রতিদিন এই সকল অঞ্চলের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ও আনন্দ করে প্রসাদ গ্রহণ করছেন এবং বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন সারছেন বলেও জানা গিয়েছে।
এই কাজে যিনি হাত লাগিয়েছেন সেই মুসলিম ভাই নজরুল শেখ জানিয়েছেন যে আমি শুধু রথ উপলক্ষে নয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ দূর্গা উৎসবেও আমি সহযোগিতার হাত লাগায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584