নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
পেটের তাগিদে গত ৩০ বছর ধরে হাটে বাজারে ভাঁপা পিঠে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন অর্ধ বৃদ্ধা মহিলা। পুজোর প্রাক মুহূর্তে রেশন কার্ড সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন পেলেন তিনি। ওই মহিলার নাম নারায়ণী বিশ্বাস। বাড়ি আলিপুরদুয়ার ২নং ব্লকের টটপাড়া ২নং গ্রামপঞ্চায়েতের কয়াখাতা গ্রামে। সংসারে সদস্য সংখ্যা মোট চার জন ।
প্রতিবন্ধী ছেলে বাদল ও তার ছেলে মেয়ে । বাদলের বয়স ৩৫ বছর । যখন প্রতিবন্ধী বাদলের বয়স আট মাস তখন বাদলের বাবা তার মা নারায়ণী দেবীকে ছেড়ে আলাদা সংসার করেছেন । ফলে আট মাসের পুত্র সন্তান বাদলকে নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি । সেই সময় থেকেই সংসারের ঘানি টানার জন্য লড়াই এ নেমেছেন নারায়ণী দেবী । যখন বাদলের চার বছর বয়স তখন থেকেই ভাঁপা পিঠে বিক্রি শুরু করলেন তিনি । ধীরে ধীরে প্রতিবন্ধী বাদল বিয়ে করে । বাদলের এক ছেলে উত্তম বয়স নয় বছর আর মেয়ে ক্যাটরিনা ছয় বছর বয়স । যদিও বাদলের সহ – ধর্মিনী চার বছর আগেই তাকেও ছেড়ে চলে গেছে । বাদল ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী । কিন্তু কোন সুযোগ সুবিধা নেই বাদল কিংবা বাদলের মা নারায়ণী দেবীর । প্রতিবন্ধী বাদল ও তার ছেলে মেয়ে কে নিয়ে কোন ভাবে সংসার চালাচ্ছেন নারায়ণী দেবী ।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পদযাত্রা
সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় দুই নাতি নাতনিকে পুজোতে নুতন জামা কাপড় দিবেন কি করে ? কিন্তু রেশন কার্ড সংশোধনের কাজ এর জন্য আলিপুরদুয়ার ২নং ব্লকে প্রচুর মানুষের সমাগম হওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন নারায়ণী দেবী। কেন বেচাও একটু বেড়েছে অন্য দিনের তুলনায় । প্রতিদিন পাঁচ শত টাকা বিক্রি হয় বলে জানান তিনি । লাভের পরিমাণ দুই শত টাকা। পুজোতে নাতি নাতনিকে নুতন জামা কিনে দেবার আশায় ওই বৃদ্ধা মহিলা ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584