মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
২১ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্যে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলার দলের সভাপতিকে পরিবর্তন করা হয়েছে, তাতে বাদ পড়েনি কোচবিহার জেলাও। এই জেলার সভাপতি হন বিদায়ী সাংসদ পার্থ প্রতিম রায়।
তার পরে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় মুখপাত্র হিসাবে ১২ জনের নাম ঘোষণা করেছে। রাজ্যের মুখপাত্রের তালিকায় রয়েছে ২২ জনের নাম। পরবর্তী কালে কোচবিহার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নরেন্দ্র নাথ দত্তকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। এই নিয়ে রাজ্যের মুখপাত্র হল ২৩ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা চিকিৎসায় ইসিএমও-র সাহায্যে সুস্থ হলেন ১৩১ কেজি ওজনের যুবক
এই খবর পাওয়ার পর নরেন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, “আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি দলের মুখপাত্র হিসাবে আমাকে বেছে নেওয়া হবে। সকলের আশীর্বাদ নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব সামলাব ও কাজ চালিয়ে যাব। ইতিমধ্যে সমস্ত বিধায়কদের সাথে আলোচনা করেছি, ফোনে কথা হয়েছে সকলের আশীর্বাদ নিয়েছি। ২১ সালে ৯ টি বিধানসভায় যেন আমাদের বিধায়করা জয়ী হয় তার জন্য দলের হয়ে রাতদিন পরিশ্রম করব।”
আরও পড়ুনঃ দেশের নতুন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) হলেন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু
তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে প্রচুর ফোন এসেছে। সকলের সাথে কথা বলছি। যদিও বয়স কম আরও কিছু স্টাডি করে দলকে আরও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার তা করার চেষ্টা করব বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের দাপটে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। তার কারণ হিসেবে বারবার উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
আর সেই গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে উত্তর বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা ও কোচবিহারের জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে কোচবিহারের সভাপতি করা হয়েছে পার্থ প্রতিম রায়কে। তিনি ছিলেন দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি। সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে চেয়ারম্যান করা হয়। কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন উদয়ন গুহ ,অর্ঘ্যরায় প্রধান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584