নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে প্রায় একটি শব্দবন্ধ শুনতে পাওয়া যায়– ‘টুকরে টুকরে গ্যাঙ’৷ তাদের বক্তব্য ভারতকে বিভাজনের রাস্তা করে দিতে চায় এই দল বা গ্যাঙ। দেশের মধ্যে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোয় দায়ী এই দল। কিন্তু এই ‘টুকরে টুকরে গ্যাঙ’ কী এবং এর অস্তিত্ব কোথায় সে নিয়ে সংগঠিত কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দফতর এর মধ্যে জানিয়েছে আদতে এরকম কোনও দলের অস্তিত্বই নেই। রাইট টু ইনফরমেশন অর্থাৎ তথ্য জানার অধিকারের আওতায় তোলা এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দফতর এই কথা জানিয়েছে। এমনকী এও বলা হয়েছে কোনও গোয়েন্দা তদন্তেও এরকম কোনও দলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৫ বছর আগে দিল্লিতে জেএনইউতে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার ও উমর খলিদ এক বিক্ষোভে ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ!” স্লোগান দিচ্ছিলেন। তারপর থেকেই তাদেরকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাঙ’ এর সদস্য বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে এরকম কোনও দলের অস্তিত্বই নেই।

বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, ছাত্র আন্দোলনকে ‘টুকরে গ্যাঙ’ নাম দিয়ে বিজেপিই বিভাজনের খেলা খেলছে। কিন্তু এরা কেউই বিচ্ছিন্নতাবাদী নন। এরা যে আজাদির কথা বলেন, তা হল জাতিভেদ থেকে, কুসংস্কার থেকে, অনগ্রসরতা থেকে এবং ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি।
আরও পড়ুনঃ অস্তিত্ব নেই ওয়ার্ডের, তবু অনুমোদিত হয়েছে লক্ষাধিক টাকা
আরটিআই মারফত ২৬ ডিসেম্বর ছাত্র আন্দোলন নেতা সাকেত গোখেল প্রশ্ন তুলেছিলেন এই দলের নামকরণের যৌক্তিকতা নিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জবাব পেয়ে তিনি বলেছেন, “তার মানে তো এই দাঁড়াল যে, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এটা অন্যায় শুধু নয়, পাপ। আমি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব। ওঁর সাংসদ পদ যাতে খারিজ করে কমিশন, সে জন্য আবেদন জানাব।”
এদিন গোখেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যাঁরা এই শব্দ উচ্চারণ করেছেন গলা উঁচিয়ে, তাঁদের ঠিক ততটাই স্বর নামিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
আরও পড়ুনঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অপ্রয়োজনীয়, বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন হাসিনা
বিজেপি সদস্যদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি থেকে প্রকাশ জাভরেকর সবাই এই দলের নাম প্রকাশ্যে বারবার এনেছেন। খোদ অমিত শাহ জনসভায় এই দলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, এই দলই ভারতের বিভাজনের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584