নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
কমন এলিজিবিটি টেস্ট আয়োজনের জন্য ‘ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি’ গঠন করা হচ্ছে। ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অর্থৎ, এবার থেকে আর আলাদা আলাদা পরীক্ষা দিতে হবে না। একইসঙ্গে হবে ব্যাঙ্ক, রেল বা স্টাফ সিলেকশনের নিয়োগের জন্য পরীক্ষা। চাকরিপ্রার্থীদের হয়রানি কমাতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী মন্ত্রিসভা।
‘ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি’র মাধ্যমে সব নন-গেজেটেড পোস্টের চাকরির জন্য একটিই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবং সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আলাদা আলাদা বিভাগে চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে।
Union Cabinet approves setting up of 'National Recruitment Agency' to conduct Common Eligibility Test. This decision will benefit job seeking youth of the country: Union Minister Prakash Javadekar pic.twitter.com/oSbo1sIAus
— ANI (@ANI) August 19, 2020
প্রতিবছর কমবেশি ১ লক্ষ ২৫ হাজার সরকারি চাকরির জন্য প্রায় আড়াই কোটি চাকরিপ্রার্থী বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা দেন। আলাদা আলাদা চাকরির জন্য আলাদা আলাদা বোর্ডে পরীক্ষা দিতে হয়। যেমন রেলে নিয়োগের জন্য রেল নিয়োগ বোর্ড, সরকারি অফিসের চাকরির জন্য স্ট্রাফ সিলেকশন কমিশন বা ব্যাঙ্কিং পরীক্ষার জন্য আইবিপিএসের মতো পরীক্ষা দিতে হয়। এতে একদিকে যেমন চাকরিপ্রার্থীদের আলাদা আলাদা পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। তেমনি ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে পরীক্ষা পর্যন্ত বহু হয়রানিরও শিকার হতে হয়। সেই সঙ্গে ব্যয় হয় প্রচুর অর্থও।
আরও পড়ুনঃ নতুন রূপে গুগল, বন্যার সতর্কবার্তা আসবে মোবাইলেই
এবার এই সব পরীক্ষার্থীর জন্য সুখবর নিয়ে এল কেন্দ্র। সমস্ত নন-গেজেটেড পদে নিয়োগের জন্য তৈরি হল অভিন্ন নিয়োগ বোর্ড। যার নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি। এই এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে নেওয়া হবে কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট। অনলাইন পরীক্ষায় পাশ করলেই আবেদন করা যাবে ব্যাঙ্ক, রেল-সহ অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এই কমন এলিজিবিলিটি টেস্টের মেরিট লিস্টের মেয়াদ হবে তিন বছর। অর্থাৎ একবার পরীক্ষায় পাশ করলে পরবর্তী তিন বছর বিভিন্ন পোস্টের চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। এর জন্য আলাদা আলাদা করে আর পরীক্ষা দিতে হবে না।
আরও পড়ুনঃ লড়াই করার জন্য কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার প্রয়োজন নেইঃ রাহুল গান্ধী
তিনটি এজেন্সির প্রতিনিধি থাকবেন ‘ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি’-তে। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় অভিন্ন পরীক্ষা নেবে। অনলাইনে পরীক্ষা হবে। সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দেওয়া হবে। তিন বছর সেই নম্বরের বৈধতা থাকবে। তিন বছরের মধ্যে তিনবারই পরীক্ষা দেওয়া যাবে। যে বারের নম্বর দেওয়া হবে, সেটি চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে।
কেউ চাইলে, একবারও পরীক্ষা দিতে পারবেন। প্রতি জেলায় একটি করে পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি হবে। সিলেবাস একই হবে। একাধিক ভাষায় পরীক্ষা হবে। আপাতত ১২ টি ভারতীয় ভাষায় হবে। পরে আরও বাড়ানো হবে। বয়সের ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ সীমা এক থাকবে। পরিবর্তন হবে না।
শুধু প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অভিন্ন পরীক্ষা হবে। তারপরের পর্যায় থেকে অভিন্ন পরীক্ষা হবে না। সূত্রের খবর, আগামী বছর থেকেই এই অভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। স্বাধীন ভারতের ইতহাসে এটি অন্যতম বড় সংস্কার। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা এতে উপকৃত হবেন বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584