নিজস্ব সংবাদদাতা,নদীয়া বর্ধমানঃ
কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গত মঙ্গলবার বিকেলে নদীয়া বর্ধমান জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে যে নদীয়া জেলায় কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক কাঁচা বাড়ি পড়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে পাকা ধানের জমি ফসল। সেই সাথে বর্ধমান জেলাতেও হাজারখানেক কাঁচাবাড়ি পড়ে গেছে ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কাঁচা সবজির জমির।
বৃহস্পতিবার কালনা কাটোয়া মহকুমায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রান দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
তাই দুটি জেলাতেই ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। নদীয়া জেলার হাঁসখালি শান্তিপুর করিমপুর নাকাশিপারা পলাশীপাড়া কৃষ্ণগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে বহু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে।
গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কাজ শুরু হয়েছে। কালনা পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। শহরে প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে শতাধিক ত্রিফল বিলি করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে। কিন্তু পর্যাপ্ত ত্রিফলার অভাব বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া যে কালনা মহকুমায় প্রায় দুই হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত ত্রান দেওয়ার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এছাড়াও বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর মঙ্গলকোট জামালপুর প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে। ভোটের মুখে এই ধরনের জ্বরের ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ না যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসকদলে।
অন্যদিকে নদীয়া জেলাতে ক্ষতিগ্রস্থরা কোনরকম ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।
তবে জেলা আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে একদিকে ভোট অন্যদিকে এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় তাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই বলেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বহু পাকা ধানের জমিতে জলে ভাসছে অনেক ধান কেটে দেওয়া অবস্থায় জমিতে জল ক্ষতি হয়েছে বেশি চাষীরা।
ফিচার ছবি সংগৃহীত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584