মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন করে নদীর চরে গৃহবধূর দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুঁটিমারি ফুলেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বৈরাতী গ্রামের মানসাই নদীর চরে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল কান্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সে খুন করে নদীর চরে পুঁতে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আড়াই বছর আগের কঙ্কাল উদ্ধার পুলিশের
বৈরাতী গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ সরকার কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী ধনঞ্জয় বিশ্বাসের সাথে তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ভাবে একটি সালিসি সভাও হয়। তারপর ১৪/১৫ দিন আগে তাঁর স্ত্রী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
এদিন মানসাই নদীর চরে কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার পর সেখানে গিয়ে সন্তোষ বাবু উদ্ধার হওয়া জামা কাপড় ও আধার কার্ড দেখে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি তাঁর স্ত্রীর বলে দাবি করেন। পরে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানালে পুলিশ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ধনঞ্জয় বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জিজ্ঞসাবাদে অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁকে খুন করে মানসাই নদীর চরে পুঁতে দেওয়ার কথা অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গতকাল বৈরাতী গ্রাম সংলগ্ন নদীর চরে মাথার খুলি সহ বেশ কিছু হাড়গোড় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি আধার কার্ড, ওড়না, মোজা, হাতের চুড়ি, মালা সহ বেশ কিছু জিনিস। ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ সেখানে যায়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ সরকার এসে জামা কাপড় ও আধার কার্ড দেখে ওই কঙ্কাল তাঁর স্ত্রীর বলে শনাক্ত করেন। তিনি পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584