মোহনা বিশ্বাস, বিনোদন ডেস্কঃ
“কন্যাদান নয়! এবার থেকে বলুন কন্যামান”, সম্প্রতি এক নামী পোশাকের ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে একথা বলতে শোনা গেছে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে। আর তাতেই নেটিজেনদের একাংশের রোষে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। আলিয়াকে ‘হিন্দুবিরোধী’ বলে তোপ দেগেছেন অধিকাংশ নেটজনতা।
বেদে হিন্দুধর্মে একাধিক রীতিতে বিয়ের কথা বলা হয়েছে। তারমধ্যে বৈবাহিক রীতি হল অন্যতম। এই রীতি অনুযায়ী বিয়ের সময় কন্যা সম্প্রদান করতে হয়। আর সমাজে এই রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু নারীরা কি সত্যিই পণ্যসামগ্রী? বর্তমানে এই ধরণের কিছু প্রশ্ন কাঁটার মতো বিঁধছে সমাজের বুকে। এই সমস্ত বৈবাহিক রীতির বিষয়ে নানা প্রশ্ন-তর্ক নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও।
Kanyadaan is “Patriarchal” but Giving the bride, Nikah-Mehr are all “Woke” !! Right @Manyavar_ ? pic.twitter.com/iLgyL89Kqd
— Yo Yo Funny Singh 🇮🇳 (@moronhumor) September 18, 2021
Woke feminism by drugwood to reform Hinduism. But total silence on cult of Halala, TTT, Polygamy, Iddat, Child marriage that views women as property@aliaa08 is probably inspired by her women-empowerment champ daddy to give gyan on Kanya ka Maanpic.twitter.com/HwDUuvHlmN
— Gems of Bollywood (@GemsOfBollywood) September 18, 2021
সম্প্রতি বিজ্ঞাপনী প্রচারের মাধ্যমে এমনই একটা প্রশ্ন সমাজের দিকে ছুঁড়েছেন আলিয়া ভাট। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন নেটজনতার একাংশ। এমনকী অভিনেত্রীর ধর্ম নিয়েও তোপ দাগতে পিছপা হননি তাঁরা। যে বিজ্ঞাপনের জন্য এত তর্ক-বিতর্ক।
আরও পড়ুনঃ ট্রেলারে থাকলেও মূল ছবিতে ‘জবরা ফ্যান’ গানের অস্তিত্ব নেই কেন? সুপ্রিমকোর্টের প্রশ্নের মুখে যশরাজ
সেই বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্যে অভিনেত্রীর সংলাপ ছিল, “সবাই বলে মেয়েরা পরের ধন, কিন্তু সে কোনও ধন নয় কিংবা সে অন্য কারোরও নয়! আসলে কন্যা কোনও দানের বস্তুই নয়। তাই কন্যাদান নয়, এবার থেকে বলতে শিখুন কন্যামান!” এই বিজ্ঞাপনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হিন্দু নেটিজেনদের কাছ থেকে ‘হিন্দুবিরোধী’ তকমা পান আলিয়া।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584