বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতাঃ
২০১৬ সালে রানু ছায়া মঞ্চে অর্থাৎ পথের ধারে এই উৎসবটি বালার্ক আয়োজন করতে চেয়েছিল, তাই এর নাম ‘পথের পাঁচালী’ অথবা প্রথম আয়োজনে পথ শিশুদের মুখে হাসি দেখতে চেয়ে ছিল, তাই ‘পথের পাঁচালী’; এগুলি যথাযত নয়।
আসলে বালার্ক তার চলার ‘পথে’ সেই সব কিছুই অর্জন করতে চায়, যা তার আগামীর চলার পাথেয় হবে।না শুধু অর্থ এবং পরিচিতি নয়।খবরের কাগজে কিছু মিথ্যে প্রশংসা বা ভিতরের পেজে নিজেদের দুটো খবর বা বিখ্যাত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে দুটো ছবি; বালার্কর পাথেয় নয়। শীতে কষ্ট পাওয়া দুটো শিশুর গায়ে শীতের পোশাকের উষ্ণতা, খালি পায়ে হেটে বেড়ানো দুটো শিশুর পায়ে লাল নীল জুতো,পুরোনো ছেঁড়া পোশাকের বদলে দুটো নতুন রঙিন জামা,ছাপার অক্ষরে দুটো বই বা কল্পনা কে রূপ ও রঙ দিয়ে রঙিন করে তোলার জন্য আঁকার খাতা; শিশুর মুখে যে অনাবিল হাসি এঁকে দেয়, সেটাই তাদের পাথেয়।
বালার্ক-র সদস্যরা অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন,একজন মানুষ যার সমাজের প্রতি কোনো দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা নেই তিনি কখনোই থিয়েটারের মানুষ নন এবং তাকে দিয়ে থিয়েটারের কাজ বা থিয়েটারের দলের কাজ কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
বিগত দুই বছরের মতো এই বছরও ৩১শে ডিসেম্বর রাণু ছায়া মঞ্চে পথের পাঁচালী আয়োজন করেছে বালার্ক।সকাল থেকে মূকাভিনয়,পাপেট্রি,অন্তরঙ্গ নাটক,গান এবং পেইন্টিং নিয়ে হাজির ছিল অশিক্ষিত,রোদ্দুর, বিদিশা,প্রশান্ত,প্রিয়ঙ্কর,ভান এবং গিলি গাঙ্গুলি। সেন্ট পলস চার্চের বাইরে বেরোনোর গেটের পাশে যে ছবিটি জ্বলজ্বল করছে সেটা এই উৎসবের অংশ হিসেবে সৃষ্টি করেছে গিলি আর তার বন্ধুরা।এখানে ডোনেশন বক্সে সংগৃহিত অর্থে কেনা হবে জামা, জুতো,আঁকার খাতা, রং পেন্সিল আর পুতুল।
পৌঁছে যাবে তাদের হাতে, যারা এগুলোকে সান্তার গিফট মনে করে আগামী বছরের অপেক্ষা করতে শুরু করবে।যারা আজ তাদের কথা ভেবে বালার্ক-র ডোনেশন বক্সে অন্তত দুই টাকাও দিলেন, তারাই এদের কাছে সান্তা।২০১৮ এর শেষ দিনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ২০১৯ এর প্রাক্কালে এমন সুন্দর একটা পাঁচালী রচনা করে দিল বালার্ক।
আরও পড়ুনঃ লালমাটির জেলায় রাঙামাটির উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584