পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বীরভূমের সাঁইথিয়ার জয়তু সুভাষ গোষ্ঠী ক্লাব, বীরভূমের অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ক্লাব।করোনা আবহে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। যা দেখে প্রত্যেকেই বলছে অত্যন্ত সুন্দর সামাজিক বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে ক্লাব সদস্যরা।
বাস্তবে এমন দিন দেখতে হবে এটা অবশ্য পুজো উদ্যোক্তারা কোনদিন ভাবেননি। মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় মা দুর্গা। মা দুর্গা ছাড়াও লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, এমনকি অসুরের মুখেও পরানো হয়েছে মাস্ক, যা রুপোর তৈরি। পাশাপাশি মানা হয়েছে রাজ্য সরকারের সমস্ত নির্দেশাবলী।
পুজো উদ্যোক্তা দেবাশীষ সাহা জানিয়েছেন, সমস্ত রকমের বিধি মেনেই এবারের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোয় সকালের অঞ্জলি এবং রাতের সন্ধ্যারতি ফেসবুকে দর্শকদের জন্য লাইভ দেখানো হবে। যারা মণ্ডপে অঞ্জলীদিতে আসবেন তাদের জন্য মন্দির চত্বরে গোল দাগ দিয়ে সুনির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
মায়ের জন্য ফুল, ফল, যাবতীয় যে জিনিস মন্দিরে আসবে তা সমস্ত কিছুই স্যানিটাইজ করে নিয়ে আসা হবে। পুজোর সময় দুজন পুরোহিত ছাড়া অন্য কেউ পুজো স্থলে উপস্থিত থাকতে পারবে না। যে পুরোহিত পুজো করবেন তাদের জন্য মাস্ক, হাতে গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গঙ্গাদূষণ রোধে পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত, রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের
করোনা আবহে দুর্গোৎসব অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে। তার ওপরে মহামান্য আদালত বেঁধে দিয়েছে একগুচ্ছ নিয়মাবলী। এই দুয়ের জাঁতাকলে উদ্যোক্তাদের ইতিমধ্যে কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
এত আয়োজন যে দর্শকের জন্য সেই দর্শকের পদধূলি এবার পড়বে না মণ্ডপের ভেতরে। তাই মন খারাপ কর্মকর্তাদের। তবে তারা আশাবাদী আগামী বছর পুনরায় পৃথিবী হয়ে উঠবে স্বাভাবিক এবং দুর্গাপুজােয় মা দুর্গার দর্শনে আবার মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়বে সাধারণ মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584