সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
‘গ্রিন সিন্থেসাইজড ন্যানো পার্টিকল’এই নামটি কি আপনি আগে শুনেছেন?শোনেননি?এই বিশেষ আবিষ্কার, যা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তাই হতে চলছে মশক বংশের বিনাশের কারণ।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী গৌতম চন্দ্রর তত্ত্বাবধানে গবেষক অনুপম ঘোষ ও অঞ্জলি রাওয়ানি এই আবিষ্কার করেছেন।গাছের রসের সঙ্গে সিলভার (রুপো) ও কপার (তামা)-র যৌগ মিশিয়ে এই ন্যানো পার্টিকল তৈরি করা হয়েছে।২০১৩ সাল থেকে এই ন্যানো পার্টিকল নিয়ে গবেষণা চলছে অবশেষে মিলল সাফল্য।অনুপমবাবু বর্তমানে বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ও অঞ্জলিদেবী গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। প্রথমে সোলানাম নাইগ্রাম প্রজাতির গাছের রস ব্যবহার করে এই পার্টিকল তৈরি করা হলেও পরে মেহগিনি গাছের রসে দিয়েও ন্যানো পার্টিকল তৈরি করে হয়েছে। কোন গাছের রস এই পার্টিকেলে লাগবে তা কি ভাবে বুঝলেন তাঁরা?গবেষকদের বক্তব্য, ট্রায়াল অ্যান্ড এরর পদ্ধতিতে বিভিন্ন গাছের রস ব্যবহার করে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে।এই পার্টিকলটি ব্রাউনিয়া গতিতে চলাচল করে টার্গেটে আঘাত করে।মশার লার্ভা বিনাশে যা খুবই কার্যকরী।এখন শুধু পেটেন্টের অপেক্ষা।তা মিললেই অত্যাধুনিক এই ন্যানো প্রযুক্তির আবিষ্কার মশাবাহিত অন্যান্য রোগ মোকাবিলায় হাজির হবে আপনার সাথে। মশা মারতে হয়ত আর কামান দাগতে হবে না তখন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584