নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
আরও একবার ক্যামেরার পিছনে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সামনে কে জানেন? পরিচালকবাবুর বাবা জয়ন্তমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথিতযশা অভিনেতা তিনি৷ মঞ্চ এবং বৈদ্যুতিন মাধ্যম- দুই জায়গাতেই দাপিয়ে বেড়ান তিনি। এবার ছেলের পরিচালনায় ক্যামেরার সামনে বাবা। বেশ মজাদার এবং মর্মস্পর্শী একটা ব্যাপার ঘটতে চলেছে বাংলা সিনে দুনিয়ায়।
নিজের চিন্তাভাবনাকে ছবিতে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছেন জয়জিৎ। এই সময়ে দাঁড়িয়ে একটি সামাজিক বার্তা দিতেই তাঁর এই আয়োজন। জয়জিতের কাছ থেকেই জানা গেল, ছবিতে রয়েছে একটাই মাত্র চরিত্র। নেই কোনও সংলাপ। কেবল এক্সপ্রেশনের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে ছবিটি। একটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গল্প নিয়ে এই শর্ট ফিল্ম। জয়ন্তমোহনকে দেখা যাবে এক সিকিউরিটি গার্ডের ভূমিকায়।
সাদা-কালো এই শর্ট ফিল্মের শুটিং শেষ হল গতকাল। সময়সীমা ১২ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে বলে জয়জিতের আন্দাজ। ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের এক বড় অবদান আছে। ক্যামেরায় অভিজিৎ নন্দী। সম্পাদনায় সুমিত ঘোষ। প্রোডাকশন ডিজাইন করেছেন জিকো অধিকারী। কাহিনি পরিচালকেরই সৃষ্টি। ছবির প্রযোজনায় অলিভিয়া রায়।
আরও পড়ুনঃ আগামী পাঁচ বছরে পঞ্চাশটি ছবি তৈরির প্রয়াস
জয়জিতের কথায়- “আমি পোস্ট প্রোডাকশনের পর দেখতে চাই যেটা বানাতে চেয়েছিলাম সেটা পারলাম কিনা। ছবিটা বানানোর কথা মাথায় আসার পরই মনে হয়েছিল দর্শক টিভি খুললেই বা সিনেমা হলে গেলেই যে মুখগুলি দেখতে পান তাঁদের এই চরিত্র আনব না। অথচ চেয়েছিলাম এমন কারোকে যার অভিনয়দক্ষতা সকলকে টানে, ভাবায়। তেমনই এক অভিনেতা আমার বাবা। বাবাকে আমার আবদার জানাই। বাবার গল্প শুনে ভাল লাগে। রাজিও হয়।
আরও পড়ুনঃ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ফ্লোরে ফিরছেন নন ফিকশনের সঞ্চালকরা!
দেখা যাক পিতা-পুত্রের এই মেলবন্ধন দর্শক কীভাবে নেন। তবে, আমি কিছু বলতে চেয়েছি ছবিটাতে। সত্যি কথা বলতে, নিজের ভাবনা মেলে ধরতে চেয়েছি। আর সেটা সকলের ভাল লাগতেই হবে এমন আশা আমার নেই। আমি কতটা তুলে ধরতে পারলাম সেটাই দেখতে চাই। বলা ভাল, নিজের দিকেই নিজে ছুঁড়ে দিয়েছি চ্যালেঞ্জ। বাকিটা সময় বলবে।”
ছবিটিকে ফেস্টিভ্যালে ঘোরানোর ইচ্ছে আছে অভিনেতা-পরিচালক জয়জিতের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584