নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সাতসকালেই দুর্ঘটনা। তেলেঙ্গানার শ্রীশৈলম বাঁধের পাশে ভূগর্ভস্থ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। জানা গেছে, এদিন রাতে প্ল্যান্টের ভিতরে থাকা একটি পাওয়ার হাউসে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। ওই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে আগুন লাগার কারণে এখনও এক মহিলা অফিসার সহ দুর্ঘটনাস্থলে আট জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে।
যদিও তার আগে অন্তত ১০ জনকে ওই আগুন লাগার জায়গা থেকে সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ডিভিশনাল ম্যানেজারও ছিলেন। শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগে বলে অনুমান। দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
#UPDATE Two bodies have been found from the incident site where the fire had broken out at Left Bank Power House in Srisailam, in Telangana side: Achampet Police, Telangana https://t.co/9kMA1D9jBK
— ANI (@ANI) August 21, 2020
এনডিআরএফের একটি দুর্যোগ মোকাবিলা দল বর্তমানে ওই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিতরে আটকে পড়া মানুষজনেদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। উদ্ধারকার্যে তাঁদের সাহায্য করছে কুরনুলের আত্মকুর দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত
আগুন লাগার সময় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর ছিলেন তেলেঙ্গানা স্টেট পাওয়ার জেনারেশন কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররা। রুটিন পর্যবেক্ষণের কাজ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। সকালেই ছ’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গোটা ঘটনার নজরদারি নিজে করছেন বলে শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্র শেখর রাও। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী জগদীশ রেড্ডি এবং টিএস জেনকো-র সিএমডি প্রভাকর রাও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ জুলাইয়ে আনলক পর্বে কাজ হারিয়েছেন ৫০ লক্ষ মানুষ
নগড়াকুর্নুল দমকল আধিকারিক শ্রী দাসের কথা অনুযায়ী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের থেকে গত রাতে খবর পাওয়া মাত্রই পাঁচটি ইঞ্জিন দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এরপরও জরুরিভিত্তিতে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। রুটিন নজরদারির সময় আধিকারিকরা একতলায় ছিলেন। ভূগর্ভস্থ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাটির নীচে আরও চারটি তলা রয়েছে।
মাটির তলায় প্রথমে টারবাইন, তারপরের দু’টি তলায় জেনারেটর ও বিদ্যুৎ প্যানেল এবং একেবারের শেষে রয়েছে সার্ভিস-বে। শ্রী দাস আরও বলেন যে, ‘সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ-প্রস্থানের পথ একটাই। আমাদের কর্মীরা সড়ঙ্গের এক কিমি পর্যন্ত যেতে পারলেও আরও পাঁচশ মিটার পথ রয়েছে। সেই জায়গা ধোঁয়ার ভর্তি। ফলে উদ্ধার কাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584