নিপা জ্বরে আক্রান্ত কেরল মৃত ১০

0
106

নিউজডেস্কঃ

কেরলের কোঝিকোড়ের পেরাম্বারায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ভূত নিপা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোঝিকোড় এবং মালাপ্পুরম জেলায়।রাজ্যের একটি বড় অংশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।সূত্র থেকে জানা গেছে মৃত প্রায় ১০ এবং দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।এক নার্স যিনি রুগীর পরিচর্যা করছেন তিনিও মারা যান।শুধু কোঝিকোড়েই মৃত্যু হয়েছে আট জনের।দুই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৪।

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের অফিস থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে এই রোগের আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য বহু চিকিৎসক স্বেচ্ছায় কাজ করতে রাজি হয়েছেন।উপদ্রুত এলাকায় বিশেষ কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
এই ভাইরাসের প্রথম হদিস মেলে ১৯৯৮ -৯৯ সালে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে।মালয়েশিয়ার সুঙ্গাই নিপাগ্রামে তখন সবচেয়ে বেশী রোগাক্রান্তের মৃত্যু ঘটে।তাই এই গ্রামের নামে এই রোগের নাম করণ করা হয়েছে।২০০১ সালে শিলিগুড়িতে ও ২০০৭ সালে নদীয়াই এই রোগের যথাক্রমে ৬৫ জন ও ৫ জনের মৃত্যু হয়।২০১১ সালে বাংলাদেশে ৫৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫০ জনেরই মৃত্যু হয়।

নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রুগীর উপসর্গ হিসাবে দেখা যায় অল্পজ্বর,শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যাথা,বমিবমিভাব,অস্বাভাবিক ভাবে মাথা ঘেমে ওঠা,অবসাদ।আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই রুগী কোমায় চলে যাচ্ছেন বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
নিপা চিকিৎসার কোন নির্দিষ্ট টীকা নেই।রুগিকে শুধু সাপোর্টিভ কেয়ারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

মূলত ফল খেকো বাদুড় থেকেই এই রোগ ছড়ায়।রোগাক্রান্ত বাদুড়ের ছোঁয়া বা কামড়ানো ফল যদি কেউ খান তিনি এই রোগে আক্রান্ত হন।তবে শুয়োর থেকেও এই রোগ ছড়ায়।নিপা আক্রান্ত শুয়োরের মাংস খেলে বা তার ছোঁয়ায় এলেও আক্রান্ত হয় মানুষ।

তথ্য সহায়তাঃ ডাঃ সৌমিতা পোদ্দার,সহকারী অধ্যপক মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সংবাদচিত্র ও ফিচার ছবি সংগৃহীত

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here