মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
রাজ্য জুড়ে যখন বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের টানাপড়েন চলছে,তখন কোচবিহারের মাথাভাঙায় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল বিজেপি ও নির্দল সদস্যরা।আজ মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন করে বোর্ড গঠন হয়।ওই বোর্ড গঠনে প্রধান নির্বাচিত হন মজিবর রহমান মিয়াঁ ও উপ প্রধান হন টুম্পা বর্মণ।এই দুজনই নির্দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন।এদিন বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩ আসন বিশিষ্ট কুর্শামারী পঞ্চায়েতে ৫ টি করে আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীরা ৩ টি আসন পায় বিজেপি।প্রথম বোর্ড গঠনের সময় নির্দল ও বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের ছাড়াই বোর্ড গঠন করে প্রধান পদ দখল করে নেয় বলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।ওই সময় প্রধান নির্বাচিত হন জুলজেলাল মিয়াঁ কিন্তু ওই বোর্ড অবৈধ ভাবে গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় নির্দল ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা।এরপর এদিন আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তারা বোর্ড গঠন করে বলে নির্দল ও বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা বলেন, “কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন বোর্ড গঠন হয়েছে।প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন মজিবর রহমান মিয়াঁ ও উপপ্রধান টুম্পা বর্মন।”
নব নির্বাচিত প্রধান মজিবর রহমান মিয়াঁ বলেন, “আমরা আদালতের রায়ে এদিন নতুন করে বোর্ড গঠন করেছি।খুব শান্তি পূর্ণ ভাবে বোর্ড গঠন হয়েছে।এখন থেকে এলাকার উন্নয়নের কাজ আমরাই করবো।”
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে জুলজেলাল মিয়াঁ বলেন, “আদালতে এখনও মামলা চলছে। তার মধ্যেই বোর্ড গঠন হল। এই বোর্ড গঠন আমরা মানি না। এখানে আমি প্রধান ছিলাম। আমি প্রধান থাকবো।”
জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারে বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী মাদার ও যুব’র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে যুব গোষ্ঠীর প্রার্থীরা প্রতীক চিহ্ন না পেয়ে নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।মাথাভাঙার কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতেও ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের দাবি।শেষ পর্যন্ত যুব’র পতাকা নিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা এদিন বিজেপির সহায়তা নিয়ে নতুন করে বোর্ড গঠন করল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দাসপুরে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল
পুলিশ-সিবিআই দ্বৈরথ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম হয়ে রয়েছে, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ধর্নায় বসে রয়েছেন,তখন কার্যত নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থন নিয়ে নির্দলের প্রধান উপ প্রধান হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584