লোকসভা সংসদীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কমিটিতে নিশীথ

0
125

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক লোকসভা সংসদীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে স্থান পেলেন।

Nishith pramanik | newsfront.co
ফাইল চিত্র

রাজ্যের প্রান্ত জেলা কোচবিহার থেকে নির্বাচিত এই সাংসদকে গুরুত্বপুর্ন এই পদে রাখায় খুশির হাওয়া এখন কোচবিহার জেলা জুড়ে। ২০২১ সালের বিধানসভাকে সামনে রেখে ময়দানে নেমেছে তৃনমূল ও বিজেপি। ফুল ফাইটের এই আবহে উত্তরবঙ্গই পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের। তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে। শুধু সংসদীয় পদেই নয় দলের অভ্যন্তরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। ইতিমধ্যে রাজ্যের ঘাটাল ও বোলপুর এই ২টি লোকসভা কেন্দ্রের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসক দল দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ভারতীয় সংসদীয় কমিটিতে বড়সড় রদবদল করা হল এবার। সেখানে একটি আসন ছাড়া বাকি সর স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় বিজেপির বহু নতুন সাংসদদের মনোনীত করল সরকার। সেই নতুন মুখের মধ্যে বাংলা থেকেই সংসদীয় কমিটিতে স্থান পায় ৯ জন সাংসদ।

সূত্রের খবর, কংগ্রেসের বিরাপ্পা মৌলি ও শশী থারুরকে সরিয়ে অর্থ ও বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির প্রধান করা হচ্ছে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহা ও পিপি চৌধুরীকে। পদ হারিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এতদিন তিনি ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কমিটিতে। এই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ জুয়াল ওরামকে।

অন্যদিকে, শশী থারুরকে দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির প্রধানের পদ। এদিকে, বাংলার ভাগ্যে উদয় হয়েছে ৯ জন বিজেপি সাংসদের পদ। সংসদীয় কমিটিতে বাংলা থেকে ৯ জন বিজেপি সাংসদকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।
মেদনীপুরের সাংসদ তথা রাজ্যা বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

রাজ্যরসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বানিজ্য মন্ত্রকের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। দুজনকেই একই মন্ত্রকের কমিটিতে রাখা হয়েছে। হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়,বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে।

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে রয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বাঁকুড়ার সাংসদ ড: সুভাষ সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার বিষয়ক কমিটিতে এসেছেন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট মন্ত্রকের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যখন গোটা দেশ জুড়ে মোদী ঝড় চলছে, তখন বাংলায় বিজেপির মাত্র দুটি আসন জয়লাভ করেন। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে ফেলেছে বিজেপি। ২০১৯ সালে সপ্তদশ লোকসভায় গোটা রাজ্যে মোদী ঝড় উঠেছে। আর সেই গেরুয়া ঝড়ে তৃনমূল কংগ্রেস উত্তরবঙ্গ থেকে ব্যাপক ভাবে পরাস্ত হয়। সারা রাজ্যে বিজেপি ২টি আসন থেকে ১৮টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, আসন সংখ্যা ও ভোটেরে নিরিখে রাজ্য প্রধান বিরোধি দল হিসেবে উঠে এসে শাসক দলের ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। তাই যেখানে ২০১৪ সালে মোদী সরকারের মন্ত্রী সভায় আসন নিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও ও দার্জিলিঙয়ের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। তারপর ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার মোদী সরকারের আমলে বাংলা থেকে বাবুল সুপ্রিয়ও ও দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রী করা হয়।

আরও পড়ুনঃ দালালচক্র রুখতে টি শার্ট দিয়ে হাসপাতাল কর্মী চিহ্নিতকরণ

কিন্তু এরাজ্য বিজেপির এই ভাল ফলের পরে সেইভাবে সংসদীয় রাজনীতিতে স্থান না পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বলা যায়, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে এবার সংসদীয় কমিটিতে জায়গা করে নিলেন বাংলা ৯ জন বিজেপি সাংসদ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here