নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বহিরাগতদের হাতে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল পরিস্থিতি দিল্লির গার্গী কলেজে। চারদিন হয়ে যাওয়ার পরও এর বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর অভিযোগে সোমবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর।
আজ সকাল থেকেই কলেজের মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভে নামেন কলেজের শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় #স্পিকআপগার্গী লিখে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অধ্যক্ষা প্রমীলা কুমারের ইস্তফার দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুনঃ সিএএ বিরোধিতার অপরাধে লক্ষ্ণৌয়ে ৪২দিন জেলে বন্দী মালদহের নাবালক
জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের আসারও অনুমতি ছিল। ওইদিনই আবার কলেজের বাইরে সিএএ-র সমর্থনে একটি মিছিল বেরিয়েছিল। পড়ুয়াদের দাবি, ওই মিছিলের একাংশ মত্ত অবস্থায় ট্রাকে করে কলেজ প্রাঙ্গনে ঢুকে পড়ে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করে।
এমনকী পড়ুয়াদের ধাক্কাধাক্কির পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য, গায়ে হাত দেওয়া এবং তাদের সামনে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করার অভিযোগ ওঠে। এরপর ছাত্রীরা ভয় পেয়ে শৌচালয়ের দিকে ছুটে গেলে সেখানেও তাদের ধাবা করে আটকে রাখে বহিরাগতরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সেদিন নিরাপত্তারক্ষীদের সামনেই বিকাল ৪ টে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভিতর এই তাণ্ডব চলে। ওই দিন রাতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান পড়ুয়ারা। কিন্তু চার দিন কেটে যাওয়ার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ুয়াদের তরফে তা নিয়ে লেখালিখিতে নড়েচড়ে বসে জাতীয় মহিলা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এরপর গার্গী কলেজে যান পড়ুয়াদের অভিযোগ শুনতে। এরপর দিল্লি পুলিশও কিছুটা সক্রিয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584