সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
রাস্তা সম্প্রসারণের সময় মাটির নিচে থাকা ফোনের লাইনের তার কাটা পড়েছিল। বর্ধমানের শহরবাসীরা তার জেরে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকের বাড়িতে লাইন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিএসএনএলের ল্যান্ড লাইনের বিল নিয়মিতভাবেই আসছে গ্রাহকদের কাছে। প্রায় বছর দেড়েক ধরে পরিষেবা বন্ধ থাকার পরেও কেন নিয়মিত বিল গ্রাহকরা দেবেন সে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বিএসএনএলের ফাইবার তার কেটে গিয়ে ল্যান্ড লাইন থেকে নেট পরিষেবা সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বর্ধমান। বর্ধমান শহরের ধারে থাকা পোস্ট অফিসগুলির কাজ লিঙ্কের সমস্যার ফলে আটকে গিয়েছিল। সেই সময় থেকেই ল্যান্ডলাইনের পরিষেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। অথচ নিয়ম করে ফোনের বিল আসছে মাসে মাসে।
গ্রাহকরা দাবি করছেন, মে মাস এবং তার পরবর্তীতে কয়েকজনকে পাঁচশো টাকার উপর বিল পাঠানো হয়েছে। অথচ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। এই অবস্থায় কিভাবে বিল আসছে এবং কেনই বা গ্রাহকরা বিল দেবেন সে প্রশ্ন তুলছে বর্ধমান।
শহরের কার্জন গেটের টেলিফোন ভবনে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র চা শ্রমিকদের
যদিও অফিসের এক আধিকারিক বলছেন, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অর্থাৎ সিস্টেম জেনারেটেড পদ্ধতিতে বিল তৈরি হয়। গ্রাহক আবেদন করলে পরের ফোনের বিলের সাথে এই বিলের টাকা অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584